ads

মঙ্গলবার , ২৯ ডিসেম্বর ২০২০ | ১লা শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধনপ্রাপ্ত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
  1. ENGLISH
  2. অনিয়ম-দুর্নীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আমাদের ব্লগ
  6. ইতিহাস ও ঐতিহ্য
  7. ইসলাম
  8. উন্নয়ন-অগ্রগতি
  9. এক্সক্লুসিভ
  10. কৃষি ও কৃষক
  11. ক্রাইম
  12. খেলাধুলা
  13. খেলার খবর
  14. চাকরির খবর
  15. জাতীয় সংবাদ

শেরপুর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সোহাগপুরে বধ্যভূমি ও শহীদদের গণকবর সংরক্ষণের কাজ শুরু

শ্যামলবাংলা ডেস্ক
ডিসেম্বর ২৯, ২০২০ ৭:৪০ অপরাহ্ণ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ শেরপুর জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে নালিতাবাড়ী উপজেলার সোহাগপুর বিধবা পল্লীর বধ্যভূমি সংরক্ষণের কাজ শুরু হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ১৯৭১ সালের ২৫ জুলাই সোহাগপুর গ্রামে পাক হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসর রাজাকার-আলবদর বাহিনী পৈশাচিক গণহত্যা চালায়। ওইদিন গ্রামের ১৮৭ জন পুরুষ মানুষ কে হত্যা করা হয়। অর্ধ শতাধিক নারী সেদিনের ঘটনায় গণধর্ষণের শিকার হন। সেই থেকে গ্রামটির নাম হয় সোহাগপুর বিধবাপল্লী। সেদিন হানাদার বাহিনী গণহত্যা ও নির্যাতন শেষে ঘোষণা দেয়, যে লাশ দাফন করবে তাকেই হত্যা করা হবে। ফলে ভয়ে আতঙ্কে অনেকে মরদেহ ফেলে রেখে ভারতে চলে যায়। আবার কেউ কেউ রাতের আধারে নানা জায়গায় প্রিয় স্বজনের লাশ কাঁথা, মশারী, কলার পাতা পেচিয়ে জানাজা ছাড়া কোনরকমভাবে মাটি চাপা দেয়। স্বাধীনতার দীর্ঘ ৪৯ বছর পর সোহাগপুর গ্রামের সেই বধ্যভূমিগুলো সংরক্ষণের জন্য উদ্যোগ নিয়েছে জেলা প্রশাসন।

Shamol Bangla Ads

এ উপলক্ষে ২৯ ডিসেম্বর মঙ্গলবার সকালে জেলা প্রশাসক আনার কলি মাহবুব বিধবাপল্লীতে অবস্থিত শহীদ শফিল উদ্দিন, মোহাম্মদ আলী ও হাসান আলীর কবরে পুস্পস্তবক অর্পণ করে বধ্যভূমি ও গণকবর সংরক্ষণের কাজ উদ্বোধন করেন। ওইসময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ওয়ালীউল হাসান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহফুজুল আলম মাসুম, জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিটের সাবেক কমান্ডার নুরুল ইসলাম হিরু, কাকরকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল্লাহ তালুকদার মুকুল, প্রেসক্লাব সভাপতি এম এ হাকাম হীরা, এনডিসি মিজানুর রহমান, সহকারী কমিশনার সাদিক আল সাফিন, মাহমুদুল হাসান, সাংবাদিক দেবাশীষ ভট্টাচার্য, আব্দুল মান্নান সোহেল, মনিরুল ইসলাম, শহীদ পরিবারের সন্তান জালাল উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
পরে জেলা প্রশাসক ১৪ বীরঙ্গনাসহ ২৫ শহীদ জায়ার হাতে উপহার হিসেবে একটি করে শাল, শীতের কম্বল, ১৫ কেজি করে চাল, এক কেজি ডাল, তেল, চিনি লবন ও সাবাানসহ নানা উপহার সামগ্রী তুলে দেন। ওইসময় সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় জেলা প্রশাসক আনার কলি মাহবুব বলেন- সোহাগপুরের নৃশংস হত্যাকান্ডের শিকার শহীদদের বধ্যভূমি ও কবর সংরক্ষণের কাজ শুরু করতে পেরে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে আমি নিজেকে খুবই সৌভাগ্যবান মনে করছি। যাদের আত্মত্যাগে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি তাদের স্মৃতি রক্ষায় আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করবো। তিনি বলেন, সোহাগপুরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ৬৪টি বধ্যভূমি ও কবর আমরা সংরক্ষণের কাজ শুরু করেছি। এভাবে জেলায় যতগুলে বধ্যভূমি রয়েছে পর্যায়ক্রমে সবগুলো সংরক্ষণ করা হবে। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে। তারই অংশ হিসেবে এ কাজ শুরু হলো।

সর্বশেষ - ব্রেকিং নিউজ

Shamol Bangla Ads
error: কপি হবে না!