ads

বুধবার , ২ ডিসেম্বর ২০২০ | ৩রা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধনপ্রাপ্ত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
  1. ENGLISH
  2. অনিয়ম-দুর্নীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আমাদের ব্লগ
  6. ইতিহাস ও ঐতিহ্য
  7. ইসলাম
  8. উন্নয়ন-অগ্রগতি
  9. এক্সক্লুসিভ
  10. কৃষি ও কৃষক
  11. ক্রাইম
  12. খেলাধুলা
  13. খেলার খবর
  14. চাকরির খবর
  15. জাতীয় সংবাদ

ঝিনাইগাতীর মহারশি রাবারড্যামে ৪ হাজার কৃষক পরিবারের ভাগ্য বদল

শ্যামলবাংলা ডেস্ক
ডিসেম্বর ২, ২০২০ ৮:৩০ অপরাহ্ণ

খোরশেদ আলম, স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইগাতী ॥ শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে মহারশি নদীর রাবারড্যামে প্রায় ৪ হাজার কৃষক পরিবারের ভাগ্যের বদল হয়েছে।

Shamol Bangla Ads

জানা গেছে, সেচ সংকটের অভাবে যুগ যুগ ধরে এসব কৃষক পরিবারের জমিতে ইরিবোরো চাষ হতো না। এসব জমিতে বছরে এক ফসল ফলাতে হতো তাদের। ফলে এলাকার কৃষকগণ অতিকষ্টে দিনাতিপাত করতেন। কৃষিক্ষেত্রে উন্নয়নের লক্ষ্যে শেখ হাসিনা সরকার জাইকা’র অর্থায়নে মহারশি নদীর শালচুড়া, রাংটিয়া এলাকায় ২০১৬ সালে একটি রাবারড্যাম নির্মাণ করে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর এলজিইডি’র তত্ত্বাবধানে প্রায় ১২কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় রাবারড্যামটি। ২০১৭ সাল থেকে সেচ সুবিধা ভোগ করতে থাকে কৃষকরা। সেচ সুবিধার আওতাভুক্ত এলাকাগুলো হচ্ছে রাংটিয়া, শালচুড়া, নলকুড়া, ডেফলাই, মরিয়মনগর, ফাকরাবাদ, ভারুয়া, গজারীকুড়া, বনকালি, কুসাইকুড়া ও হলদিগ্রামসহ আশেপাশের আরো প্রায় ১৫টি গ্রাম। রাবারড্যাম নির্মাণ করায় এসব অনাবাদি জমিতে এখন অনায়াসে বোরো চাষ হচ্ছে। বেড়েছে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা। ফলে এসব এলাকার কৃষকদের ভাগ্যের পরিবর্তন হতে শুরু করেছে। রাবারড্যামের সৌন্দর্য উপভোগ করতে বিভিন্ন স্থান থেকে দর্শণার্থীরাও ভীড় করছেন এখানে। এ রাবারড্যামের পানি ব্যবস্থাপনা পরিচালনার জন্যে গঠণ করা হয়েছে একটি সমিতি। এ সমিতির সদস্য সংখ্যা ১২শ’। প্রথম থেকে সেচ সুবিধার আওতায় কৃষক পরিবারের সংখ্যা কম হলেও বর্তমানে তা বৃদ্ধি পেয়ে প্রায় ৪ হাজার কৃষক পরিবার সেচ সুবিধা ভোগ করছেন। সমিতি পরিচালনার লক্ষ্যে প্রতি একর জমি থেকে সেচ মূল্য ২শ’ টাকা নেওয়া হয়। স্বল্পমূল্যে সেচ সুবিধা পাওয়ায় দিনে দিনে কৃষকের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। মহারশি নদীর পানি ব্যবস্থাপনা পরিচালনা কমিটির সাধারন সম্পাদক চিন্তারঞ্জন হাজং বলেন, যুগযুগ ধরে এসব এলাকার জমিগুলোতে সেচ সংকটের কারনে পতিত থাকতো। এখন পুরোদমে চাষাবাদ হচ্ছে। জমিগুলোতে বেড়েছে উৎপাদন লক্ষমাত্রা।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা হুমায়ূন কবীর বলেন, রাবারড্যামের পানি সেচ কাজে ব্যবহার করে প্রায় ৩ হাজার একর জমিতে বোরো চাষ হচ্ছে। সুবিধাভোগী কৃষকের সংখ্যা প্রায় ৪ হাজার। তিনি বলেন, রাবারড্যামের পরিকল্পিতভাবে ড্রেন নির্মাণ করা হলে সুবিধাভোগী কৃষকের সংখ্যা দ্বিগুণ হবে। কৃষিক্ষেত্রে আসবে পরিবর্তন। মহারশি নদীর রাবারড্যাম পানি ব্যবস্থাপনা সমিতির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সামছ উদ্দিন বলেন, সেচ সুবিধা বাড়াতে পরিকল্পিতভাবে ড্রেন নির্মাণ, রাস্তা নির্মাণের দাবী জানানো হয়েছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী সামছ উদ্দিন আহমেদ বলেন, কৃষকদের সেচ সুবিধার স্বার্থে মাটির নিচ দিয়ে ড্রেন নির্মাণ ও রাবারড্যামটির চারপাশ আরো সৌন্দর্যবর্ধন করে পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে বেশকিছু প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। ২০২১ সালের মধ্যেই তা বাস্তবায়নের প্রস্তুতি রয়েছে।

সর্বশেষ - ব্রেকিং নিউজ

Shamol Bangla Ads
error: কপি হবে না!