ads

সোমবার , ৩০ নভেম্বর ২০২০ | ৭ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধনপ্রাপ্ত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
  1. ENGLISH
  2. অনিয়ম-দুর্নীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আমাদের ব্লগ
  6. ইতিহাস ও ঐতিহ্য
  7. ইসলাম
  8. উন্নয়ন-অগ্রগতি
  9. এক্সক্লুসিভ
  10. কৃষি ও কৃষক
  11. ক্রাইম
  12. খেলাধুলা
  13. খেলার খবর
  14. চাকরির খবর
  15. জাতীয় সংবাদ

শেরপুরে স্বাস্থ্য সহকারীদের কর্মবিরতি ॥ ভোগান্তিতে শিশু ও গর্ভবতী নারীসহ সেবাপ্রার্থীরা

শ্যামলবাংলা ডেস্ক
নভেম্বর ৩০, ২০২০ ৪:৩৩ অপরাহ্ণ

নিয়োগবিধি সংশোধন, বেতন বৈষম্য নিরসনসহ ৪ দফা দাবি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ শেরপুরে নিয়োগবিধি সংশোধন ও বেতন বৈষম্য নিরসনের দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মকসূচির অংশ হিসেবে বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে স্বাস্থ্য সহকারীরা অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি শুরু করায় সব ধরনের টিকাদান কর্মসূচি বন্ধ রয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন শিশু ও গর্ভবতী নারীসহ সেবাপ্রার্থীরা। গর্ভবতী মা ও শিশুরা সময়মতো দিতে পারছেন না তাদের নির্ধারিত টিকা। সেইসাথে ব্যাহত হচ্ছে সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি-ইপিআইসহ হাম-রুবেলার টিকাদান কর্মসূচি। স্বাস্থ্য সহকারীরা বলছেন, তাদের যৌক্তিক দাবি মেনে না নিলে আন্দোলন অব্যাহত রাখবেন তারা।

Shamol Bangla Ads

জানা যায়, শিশুদের সংক্রামক রোগগুলোর বিরুদ্ধে টিকাদানের মাধ্যমে শিশু মৃত্যুহার কমানোর লক্ষ্যে সরকারের সহায়তায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ইপিআই কর্মসূচি পরিচালনা করে আসছে। ওই কর্মসূচির আওতায় পোলিওমুক্ত বাংলাদেশ গঠনসহ আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক পুরস্কার অর্জনে স্বাস্থ্য সহকারীরা জোরালো ভূমিকা পালন করলেও এখন পর্যন্ত তাদের নিয়োগ বিধি সংশোধন ও বেতন গ্রেডে বৈষম্য দূর হয়নি। এজন্য বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে গত ২৬ নভেম্বর থেকে সারাদেশের ন্যায় শেরপুর জেলার ৫ উপজেলায় একযোগে কর্মবিরতি পালন করছেন স্বাস্থ্য সহকারী, স্বাস্থ্য পরিদর্শক, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শকরা। হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দের দাবি, স্বাস্থ্য সহকারীদের নিয়োগবিধি সংশোধন করে ক্রমানুসারে স্বাস্থ্য পরিদর্শক, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও স্বাস্থ্য সহকারীদের বেতন গ্রেড ১৬তম থেকে উন্নীত করা। তাদের ‘যৌক্তিক’ দাবি মেনে নিলে দ্রুত কাজে ফিরে যেতে চান তারা।
৩০ নভেম্বর সোমবার দুপুরে সরেজমিনে শ্রীবরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়, ৫ম দিনের মতো স্বাস্থ্য সহকারীদের কর্মবিরতির কারণে টিকাদান কর্মসূচি বন্ধ থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন জেলার সেবাপ্রত্যাশীরা। টিকা না দিয়েই স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে ফিরে যেতে হচ্ছে শিশু ও গর্ভবতী মায়েদের। ইউনিয়ন কেন্দ্র ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ঘুরে ঘুরেও টিকা দিতে না পেরে বিপাকে পড়েছেন তারা। গোসাইপুর ইউনিয়ন থেকে আসা হালিমা বেগম জানান, গত ২৬ নভেম্বর তার বাচ্চার টিকার তারিখ ছিল। কিন্তু কেন্দ্রে গিয়ে দেখেন কেউ নেই। পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসেও দেখেন কর্মবিরতি চলছে। তিন ঘুরেও বাচ্চাকে নিয়ে টিকা দিতে না পেরে দুর্ভোগে পড়েছেন তিনি। তার মতো টিকা দিতে শিশু নিয়ে এসে আরও অনেকেই দুর্ভোগে পড়েছেন। একই অবস্থা টিকা নিতে আসা গর্ভবতী নারীদেরও। তারা দ্রুত এ অচলাবস্থা নিরসনের দাবি জানান।
শ্রীবরদী উপজেলা হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মুনতাসির আহমেদ বলেন, টিকাদান কর্মসূচিতে স্বাস্থ্য সহকারীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করলেও আমাদের টেকনিশিয়ানের মূল্যায়ন দেওয়া হয়নি। এজন্য টেকনিক্যাল লোক হওয়া সত্ত্বেও আমরা অনেক সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত। ১৯৯৮ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছিলেন আমাদের টেকনিক্যাল মর্যাদা দেওয়া হবে, তা ২২ বছরেও বাস্তবায়ন হয়নি। আমরা প্রধানমন্ত্রী ও স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ঘোষণার দ্রুত বাস্তবায়ন চাই।
সংগঠনের সভাপতি হামিদুল হক মিয়া জানান, আমাদের চার দফা দাবির মধ্যে রয়েছে বেতন বৈষম্য নিরসনসহ টেকনিক্যাল পদমর্যাদা, মূল বেতনের ৩০ শতাংশ মাঠ-ভ্রমণ ও ঝুঁকি ভাতা এবং প্রতি ৬ হাজার জনগোষ্ঠীর বিপরীতে একজন স্বাস্থ্য সহকারী নিয়োগসহ ১০ শতাংশ পোষ্য কোটা দিতে হবে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ কর্মসূচি চলবে।

সর্বশেষ - ব্রেকিং নিউজ

Shamol Bangla Ads
error: কপি হবে না!