শ্যামলবাংলা ডেস্ক : কাসা রোসাদার রাখা হয়েছে দিয়েগো ম্যারাডোনার দেহ। শেষবার সেখানে তাকে শ্রদ্ধা জানাতে স্থানীয় সময় সকাল ছয়টা থেকেই ভিড় করতে থাকেন ভক্তরা। পরবর্তীতে ভক্তরা যাতে ‘ধন্যবাদ ম্যারাডোনা’ বলতে পারেন সেজন্য খুলে দেওয়া হয় কাসা রোসাদা। সেখানে স্বাস্থ্য বিধি মেনে ভক্তরা একে একে কফিনে মোড়ানো ম্যারাডোনার দেহের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছেন। ফুল দিয়ে-জার্সি দিয়ে শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন কিংবদন্তিকে।
আর্জেন্টিনার প্রভাবশালী ক্রীড়া সংবাদ মাধ্যম টিওআইসির লাইভে প্রোগ্রামে দেখা গেছে, ভক্তরা লাইন ধরে দিয়েগোর প্রতি সম্মান জানাচ্ছেন। কেউ কেউ চিৎকার করে উঠছেন, ফিরে যাচ্ছেন ভেজা চোখ নিয়ে। ম্যারাডোনার কফিন লক্ষ্য করে ছুঁড়ে দিচ্ছেন ফুল কিংবা জার্সি।
কাসা রোসাদায় আর্জেন্টাইন ফুটবল ঈশ্বর দিয়েগোর কফিন মোড়ানো হয়েছে আর্জেন্টিনার আকাশি-নীল পতাকা দিয়ে। তার একপাশে রাখা হয়েছে কিংবদন্তির ১০ নম্বর আর্জেন্টাইনা জার্সি। অন্য পাশে বোকা জুনিয়র্সের ১০ নম্বর জার্সি। যাতে লেখা ম্যারাডোনা।
ক্যারিয়ারে তিনি ছয়টি ক্লাবের জার্সি গায়ে চাপিয়েছেন। এর মধ্যে মাত্র ১৫ বছর বয়সে সিনিয়র দলে অভিযোগ হওয়া ম্যারাডানা পাঁচ বছর খেলেছেন আর্জেন্টিনো জুনিয়র্সে। এরপর বোকা জুনিয়র্সে যান তিনি। সেখান এক মৌসুম কাটিয়ে পাড়ি জমান বার্সেলোনায়।
বিশ্ব ফুটবল বিশ্বকে এরপর অবাক করে বার্সেলোনা থেকে নাপোলিতে যান ম্যারাডোনা। হয়ে ওঠেন নাপোলসের ঈশ্বর। কিন্তু সেখান থেকেও চলে আসতে হয় তাকে অন্য ক্লাবে। আর্জেন্টিনার ১৯৮৬ বিশ্বকাপের নায়ক আবার ফেরেন স্পেনে। এবার সেভিয়ায়। কিন্তু ইউরোপে এক মৌসুমের বেশি তার থাকা হয়নি।
দিয়েগো ম্যারাডোনা তাই ফেরেন আর্জেন্টিনায়। শুরু করেন নিউওয়েলস ওল্ড বয়েসের হয়ে। কিন্তু ওই ক্লাবে তাকে পাঁচটির বেশি লিগ ম্যাচ খেলা হয়নি। ক্যারিয়ারের সাহ্নানে বোকা জুনিয়র্সে দুই মৌসুমে ৩০ লিগ ম্যাচ খেলে ইতি টানেন চারটি বিশ্বকাপ খেলা ম্যারাডোনা। তার প্রতি তাই অন্য সব ক্লাবের থেকে বোকারই অধিকার বেশি। কফিনের একপাশে তাই শোভা পেয়েছে বোকার ঐতিহাসিক জার্সি।