শ্যামলবাংলা ডেস্ক : জাতীয় সংসদের সাবেক ডেপুটি স্পিকার, বীর মুক্তিযোদ্ধা কর্নেল (অব.) শওকত আলী মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর। ১৬ নভেম্বর সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তিনি এক ছেলে এক মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। জাতীয় সংসদের পরিচালক (জনসংযোগ) তারিক মাহমুদ এক বিজ্ঞপ্তিতে ওই তথ্য নিশ্চিত করেন।
শওকত আলী কিডনি, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ ও নিউমোনিয়ায় ভুগছিলেন। এর আগে ৫ নভেম্বর গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তাকে সিএমএইচে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। শওকত আলী শরীয়তপুর-২ আসন থেকে ছয়বার জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পাকিস্তান আমলে ১৯৬৯ সালে বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে হওয়া আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় শওকত আলীকেও আসামি করা হয়েছিল। তিনি মুক্তি সংহতি পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এবং ৭১ ফাউন্ডেশনের প্রধান উপদেষ্টা।
শওকত আলীর মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, জাতীয় সংসদের স্পিকার ডক্টর শিরীন শারমিন চৌধুরী, সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম, আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
এক শোক বার্তায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৬৯ সালে তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানী শোসকগোষ্ঠী কর্তৃক রাষ্ট্র বনাম শেখ মুজিবুর রহমান ও আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় শওকত আলীকে ২৬ নম্বর আসামী করা এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের সাথে একসঙ্গে কারাবাস করার ঐতিহাসিক ঘটনাগুলো অত্যন্ত শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম, মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং সংসদীয় গণতন্ত্র শক্তিশালীকরণে শওকত আলীর অবদান জাতি সবসময় শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে। দেশ এক প্রবীণ জননেতাকে হারালো, আমি হারালাম বঙ্গবন্ধুর আদর্শের একজন বিশ্বস্ত সহকর্মীকে। প্রধানমন্ত্রী মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।