শ্যামলবাংলা ডেস্ক : করোনায় আক্রান্ত মুক্তিযোদ্ধা ও একুশে পদকপ্রাপ্ত নন্দিত জাদুশিল্পী জুয়েল আইচকে গতকাল শুক্রবার ফের রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) নেওয়া হয়েছে। জুয়েল আইচের স্ত্রী বিপাশা আইচ বলেন, ‘আইসিইউ থেকে কেবিনে নেওয়ার পর তার শারীরিক অবস্থার তেমন অবনতি হয়নি। এর পরও কেন তাকে নেওয়া হলো তা বুঝতে পারছি না। হয়তো বাড়তি সতর্কতার কারণে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’ বিপাশা আইচ আরো বলেন, জুয়েল এখনো নিজে থেকে খেতে পারছেন না। খাবারে তাঁর রুচি নেই। গন্ধও পাচ্ছেন না। আইসিইউতে নেওয়ার আগে তিনি জুয়েল আইচের পাশেই ছিলেন।
জুয়েল আইচ একা নন, তিনি সপরিবার করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। স্ত্রী ও মেয়ে সুস্থ হয়ে উঠলেও জুয়েল আইচকে ভর্তি হতে হয় হাসপাতালে। গত ৪ নভেম্বর থেকে জ্বরে আক্রান্ত হন জুয়েল আইচ। শুরুতে গুরুত্ব না দিলেও পরে জ্বরের মাত্রা বাড়তে থাকায় চিকিৎসকের পরামর্শে তিনি কভিড-১৯ পরীক্ষা করান। পরীক্ষার ফল হাতে পেয়ে জানতে পারেন তিনি কভিড-১৯ পজিটিভ। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় গত সোমবার রাত সাড়ে ১২টায় তাঁকে রাজধানীর একটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। কিন্তু সন্তোষজনক সেবা না পাওয়ায় হাসপাতাল বদলাতে বাধ্য হয় তাঁর পরিবার। গত বুধবারের রিপোর্ট অনুসারে তাঁর ফুসফুস ৪০ শতাংশের মতো সংক্রমিত হয়েছিল।
জানা যায়, বিপাশা আইচের মা গত ১৮ আগস্ট করোনায় আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। বিপাশা আইচ ও তাঁদের মেয়ে খেয়াও করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। বিপাশা আইচ নিজেও ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। তিনি ও তাঁদের মেয়ে এখন সুস্থ। তবে জুয়েল আইচের অসুস্থতায় উদ্বিগ্ন। এ ছাড়া বিপাশা আইচ তাঁর মাকে হারানোর শোকে এখনো কাতর।
বিপাশা আইচ বলেন, ‘মা ছিলেন আমার আরেকটা মেয়ের মতো। খেয়ার কাছেও তার বাবা হচ্ছে সবচাইতে প্রিয় মানুষ।’ করোনা ছাড়াও জুয়েল আইচ ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভুগছেন।