স্টাফ রিপোর্টার ॥ ঐতিহ্যবাহী শেরপুর পৌরসভার নির্বাচনে অনেক জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে মেয়র পদে লড়াই করতে দলের নিজ বলয়ের সমর্থন নিয়ে মাঠে নামলেন জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক, জেলা আইনজীবী সমিতি ও প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি বিশিষ্ট সংগঠক ও শিক্ষানুরাগী এডভোকেট রফিকুল ইসলাম আধার। ১০ নভেম্বর মঙ্গলবার রাতে শহরের নতুন বাস টার্মিনাল এলাকায় আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় নিজ বলয়ের নেতারা তাকে ওই সমর্থন দেন। এর আগে নির্বাচনী তৎপরতার প্রথমভাগ থেকেই ডিজিটাল প্রচারণা চালানোর পাশাপাশি জেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী পরিষদের এক সভায় দলের অপর ৪ নেতার সাথে তিনিও প্রার্থিতার আগ্রহ প্রকাশ করলেও নিজ বলয়ের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় ছিলেন এতদিন।
এ উপলক্ষে জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এডভোকেট মুহাম্মদ আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক-১ হুমায়ুন কবীর রুমান। সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন জেলা বাস-কোচ মালিক সমিতির সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ছানুয়ার হোসেন ছানু। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সমাজকল্যাণ সম্পাদক তাপস কুমার সাহা, জেলা যুবলীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান হাবিব, জেলা কৃষক লীগের সভাপতি আব্দুল কাদির, জেলা বঙ্গবন্ধু আইনজীবী পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মোহাম্মদ সুরুজ্জামান, শেরপুর সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি ও সাবেক উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান মোহাম্মদ বায়েযীদ হাছান, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক উপ-দপ্তর সম্পাদক আবুল হোসেন রাসেল, জেলা কৃষক লীগের সহ-সভাপতি জয়নাল আবেদীন হাজারী, যুবলীগ নেতা আব্দুল মতিন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাজমুল ইসলাম সম্রাট প্রমুখ। এছাড়া ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শামছুন্নাহার কামাল, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক ও মিনহাজ উদ্দিন মিনাল, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ইফতেখার হোসেন কাফী জুবেরী।
দলীয় সূত্র জানায়, গত ৩ নভেম্বর জেল হত্যা দিবস উপলক্ষে শহর আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, হুইপ আতিউর রহমান আতিক এমপি শেরপুর পৌরসভার নির্বাচনে তৃণমূলের ভোটের মাধ্যমে প্রার্থিতা বাছাইয়ের ঘোষণা দিলে তা নিয়ে সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়াসহ নানা মহলে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। আর এ নিয়ে বর্তমান মেয়র, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক-১ আলহাজ্ব গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া লিটন প্রার্থিতা বাছাইয়ের ক্ষেত্রে তৃণমূলের লড়াইয়ে যাবেন কি না তা নিয়ে দলীয় অঙ্গণ ছাপিয়ে সর্বমহলে চলছে নানা গুঞ্জন। সেইসাথে তৃণমূলে অংশগ্রহণের বিষয়ে এখনও পরিস্কার নয় জেলা আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক আরিফ রেজার অবস্থান। ওই অবস্থায় তৃণমূলে অংশগ্রহণের বিষয়ে একই এলাকার সম্ভাব্য দুই প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ারুল হাসান উৎপল ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক আনিসুর রহমানের নামই আলোচনায় উঠে আসছে। অন্যদিকে সার্বিক অবস্থার প্রেক্ষাপটে এবার জোরালোভাবে মাঠে নামছেন দলের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক রফিকুল ইসলাম আধার।
এ ব্যাপারে এডভোকেট রফিকুল ইসলাম আধার জানান, প্রথমতঃ সকল প্রকার প্রস্তুতি নিয়ে মনোনয়ন যুদ্ধে লড়াই করব। এরপরও বৃহৎ এলাকার মানুষের আশা-আকাঙ্খার জলাঞ্জলি হলে তাদেরকে নিয়েই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তার মতে, তৃণমূলের নামে অর্থের লড়াই হওয়ায় সেটাকে এখন প্রার্থী নির্ধারণের বিতর্কিত পন্থা বলেই দেখছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল। তবে স্বচ্ছতা ফেরানো গেলে তৃণমূলেও কোন ভয় নেই- এমন দাবি তার।