স্টাফ রিপোর্টার ॥ শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে ইংরেজী পত্রিকা ‘দি নিউ নেশন’র শেরপুর জেলা প্রতিনিধি ও শ্রীবরদী উপজেলার ভটপুর আলিম মাদ্রাসার ইংরেজী প্রভাষক রফিকুল ইসলামকে সংবাদ সংগ্রহের কাজে বাধা, সংগৃহীত তথ্য দ্রুত ডিলিট করতে বাধ্য করা, লাঞ্ছিত করাসহ প্রাণনাশের হুমকির ঘটনা ঘটেছে। ৬ নভেম্বর শুক্রবার বিকেলে ঝিনাইগাতী উপজেলা সদরের খৈলপাড়ায় রফিকের ধানের খলায় এক শালিসে ওই ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় শুক্রবার রাতে সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। এদিকে ওই ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন সাংবাদিক মহল।
জানা যায়, গত ৩০ অক্টোবর ঈদ-ই মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে ঝিনাইগাতী উপজেলা সদর বাজারে আহলে সুন্নত ওয়াল জামাতের উদ্যোগে ৭/৮টি তোরণ নির্মাণ করা হয়। এর মধ্যে একটি তোরণে অগ্নি সংযোগের ঘটনাকে কেন্দ্র করে গ্রাম্য সালিশ বৈঠকের আয়োজন করা হয়। শুক্রবার বিকেলে উপজেলা সদরের খৈলপাড়ায় রফিকের ধানের খলায় ওই সালিশ বৈঠকের খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে কিছু ভিডিও চিত্র ও স্টিল ছবি ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনে ধারণ করেন সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম। সালিশ বৈঠক শেষ হলে নিজের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলে রওনার প্রস্তুতি নিলে খৈলকুড়া গ্রামের জনৈক বকুল মিয়া ও গোলাম মওলার নেতৃত্বে অজ্ঞাতনামা আরও ১০ থেকে ১৫ জন লোক খবরের জন্য সংগৃহীত স্টিল ছবি ও ভিডিও ডিলিট করতে বলে। পরে জোরপূর্বক সংগৃহীত সকল স্টিল ছবি ও ভিডিও ডিলিট করতে বাধ্য করাসহ তাকে লাঞ্ছিত ও প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।
সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম বলেন, আমি সন্ত্রাসীদের হাত থেকে নিজেকে বাঁচানোর জন্য আমার সংগৃহীত সকল স্টিল ছবি ও ভিডিও ডিলিট করতে বাধ্য হই। এরপরও সন্ত্রাসীরা আমার বাম পায়ে এলোপাথারী লাথি ও আঘাত করে এবং অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজ করে।
এ ব্যাপারে ঝিনাইগাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফায়েজুর রহমান জানান, ওই ঘটনায় সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে ঝিনাইগাতী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে আমলে নিয়ে তদন্ত কাজ শুরু করেছে পুলিশ।
এদিকে রফিকুল ইসলামকে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় অপরাধীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন শেরপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি শরিফুর রহমান, সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলাম আধার, সাধারণ সম্পাদক মেরাজ উদ্দিনসহ বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন।