কুষ্টিয়া : কুষ্টিয়ায় আ্যম্বুলেস ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৫ জন নিহত ও একজন গুরুতর আহত হয়েছেন। ৩ নভেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কে ওই মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনাটি ঘটে। নিহতদের বাড়ি নড়াইল জেলায় লোহাগড়া উপজেলার লক্ষ্মীপাশা গ্রামে। নিহতদের মধ্যে ৫ জনের পরিচয় নিশ্চিত করেছে পুলিশ। এরা হলেন, নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলার মশাগুনি গ্রামের শফি উদ্দিন মোল্লার ছেলে টিপু সুলতান, আব্দুস সাত্তারের ছেলে মফিজ উদ্দিন, মফিজ উদ্দিনের স্ত্রী আরবী বেগম, তার ছেলে ইফাত এবং যশোর কতোয়ালী থানার বিরামপুর এলাকার কাশেম আলী শেখের ছেলে আলী আহমদ। এতে গুরুতর আহত হয়েছেন কাশেম আলীর ছেলের ইনসান আলী।
পুলিশ জানায়, পাবনার হেমায়েতপুরের মানসিক হাসপাতাল থেকে এক চিকিৎসা শেষে এক নারী রোগীকে নিয়ে পরিবারের সদস্যরা অ্যাম্বুলেন্সে করে নড়াইল যাচ্ছিলেন। পথে বিত্তিপাড়া ও লক্ষ্মীপুর এলাকার এগার মাইল ব্রীজের কাছে বিপরিত দিক থেকে আসা বিএডিসির একটি ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে অ্যাম্বুলেন্সের চালক মফিজ, তার সহযোগি টিপু ও রোগীসহ ৩ স্বজন ঘটনাস্থলেই মারা যান। এতে গুরুতর আহত হয়েছেন রোগী। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দুর্ঘটনায় অ্যম্বলেন্সটি দুমড়ে মুচড়ে যায়। নিহতদের লাশ উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হচ্ছে বলে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার ওসি মুস্তাফিজুর রহমান জানিয়েছেন।
কুষ্টিয়া ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আলী সাজ্জাদ জানান,‘ঘটনাস্থলে এসে মাইক্রো কেটে হতাহতদের উদ্ধার করা হয়। এতে ৫ জনের চেহারা বিকৃত হয়ে গেছে। একজনের অবস্থা গুরুতর। সবাইকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডাঃ মাহমুদুল হাসান রনি, দুর্ঘটনার শিকার ৬ জনকে হাসপাতালে আনা হয়। হাসপাতালে আসার আগেই ৫ জন মারা যায়। একজন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে ঢাকায় রেফার্ড করা হতে পারে।’
কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মো. আসলাম হোসেন বলেন,‘নিহত ও আহতদের বাড়িতে খবর পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। সরকারিভাবে সহযোগিতা করা হবে নিহত ও আহতদের পরিবারকে।’