ads

রবিবার , ১২ জুলাই ২০২০ | ১৯শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধনপ্রাপ্ত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
  1. ENGLISH
  2. অনিয়ম-দুর্নীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আমাদের ব্লগ
  6. ইতিহাস ও ঐতিহ্য
  7. ইসলাম
  8. উন্নয়ন-অগ্রগতি
  9. এক্সক্লুসিভ
  10. কৃষি ও কৃষক
  11. ক্রাইম
  12. খেলাধুলা
  13. খেলার খবর
  14. চাকরির খবর
  15. জাতীয় সংবাদ

ঝিনাইগাতীতে ১০ বছরেও মাথা গুজার ঠাই মেলেনি ভিক্ষুক ছম খাতুনের

শ্যামলবাংলা ডেস্ক
জুলাই ১২, ২০২০ ৪:৩০ অপরাহ্ণ

খোরশেদ আলম, ঝিনাইগাতী (শেরপুর) ॥ শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে নিজের মাথা গুজার একমাত্র মাটির ঘরটি বিধ্বস্ত হওয়ার দীর্ঘ ১০ বছর পরও সেই ঠাই মেলেনি ছম খাতুন (৭৪) নামে এক ভিক্ষুকের ভাগ্যে। ছম খাতুন উপজেলার গৌরীপুর ইউনিয়নের বনগাঁও চতল গ্রামের মৃত আব্দুল আজিজের স্ত্রী। বয়সের ভারে ভিক্ষাবৃত্তি করতে কষ্ট হলেও জীবিকার তাগিদে তাকে এখনও ঘুরতে হয় অন্যের দ্বারে দ্বারে। আর স্বামী পরিত্যক্তা এক কন্যা ও তার ৪ সন্তান অতি কষ্টে সেই বিধ্বস্ত ঘরে জীবন-যাপন করলেও বৃদ্ধা ছম খাতুনকে থাকতে হচ্ছে অন্যের বাড়িতে।

Shamol Bangla Ads

জানা যায়, ২ কন্যা সন্তান রেখে দেশ স্বাধীনের পূর্বে ছম খাতুনের স্বামী আব্দুল আজিজের মৃত্যু হয়। অন্যের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করে ২ মেয়েকে লালন-পালন করে বিবাহ দিয়েছেন। ৩ সন্তান নিয়ে বড় কন্যা আলেছা খাতুন স্বামীর ঘর করলেও ছোট মেয়ে ছালেমা খাতুন ও তার ৪ সন্তানকে রেখে স্বামী দীর্ঘদিন নিরুদ্দেশ থাকায় ওই ৫ জনও রয়েছেন তার সাথে। বসতভিটার ৫ শতক জায়গা এবং তার উপর বসবাসের জন্য মাটির একটি দেয়াল ঘর ছাড়া সহায়-সম্বল বলতে নেই কিছু ছম খাতুনের। ভিক্ষাবৃত্তি ও বিধবাভাতার টাকায় কোনোমতো চলছিল তার সংসার। কিন্তু স্বামী পরিত্যক্তা কন্যা ছালেমা খাতুন ও তার ৪ সন্তানের বোঝাও অনেকটা তার উপর বর্তানোর কারণে যখন হিমশিম খাচ্ছিলেন ছম খাতুন, ঠিক তখনই গত প্রায় ১০ বছর পূর্বে থাকার একমাত্র ঘরটিও ঝড়-বৃষ্টিতে বিধ্বস্ত হয়ে পড়লে টাকার অভাবে আর মেরামত করা সম্ভব হয়নি। তবুও কন্যা ও ৪ নাতি-নাতনীরা কোনমতে সেই বিধ্বস্ত ঘরে রাত কাটালেও ছম খাতুনকে এখন অতিকষ্টে থাকতে হয় অন্যের বাড়িতে।
ছম খাতুনের প্রতিবেশী শফিকুল ইসলাম জানান, বয়সের ভারে নুইয়ে না পড়লেও হেঁটে যেতেই শরীর কাঁপে ছম খাতুনের। তবুও থেমে নেই তার জীবন যুদ্ধ। প্রতিদিন বের হতে হয় ভিক্ষাবৃত্তি করতে। ভিক্ষাবৃত্তি করে যা পায় তাই দিয়ে খেয়ে না খেয়ে চলে তার সংসার। একদিন গ্রামে বের হতে না পারলে সেদিন তার চুলা জ্বলে না। দিন কাটে অনাহারে-অর্ধাহারে।
নিজের মাথা গুজার ঠাই না থাকার বিষয়ে ছম খাতুন জানান, তার বিধ্বস্ত হয়ে পড়া ঘরটি মেরামতের জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীসহ সমাজপতিদের দ্বারে দ্বারে ঘুরেছেন অনেক। কিন্তু কোন কাজে আসেনি। ফলে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন তিনি। এজন্য সরকারিভাবে তার পরিবারের জন্য মাথা গুজার ঠাই করে দেয়া হলে তিনি ও তার পরিবারের সদস্যরা কৃতজ্ঞ থাকবে সরকারের প্রতি।
এ ব্যাপারে গৌরীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান মন্টুর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে জানা ছিল না। তবে সামনে সরকারি ঘর বরাদ্দ এলে তাকে দেয়া হবে।

এ বিষয়ে ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুবেল মাহমুদ বলেন, ওই বিষয়টি তাকে কেউ জানাননি। তবে তা সঠিক হলে অবশ্যই তার জন্য দ্রুত থাকার ঘরের ব্যবস্থা করা হবে। এজন্য সরকারিভাবেই সহায়তার সুযোগ রয়েছে।

সর্বশেষ - ব্রেকিং নিউজ

error: কপি হবে না!