শ্যামলবাংলা ডেস্ক : পৃথিবীর সবচেয়ে বিশুদ্ধ বাতাস খুঁজে পাওয়ার দাবি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডো স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল বিজ্ঞানী। আটলান্টিক মহাসাগরে বিশুদ্ধ বায়ুমণ্ডলের ওই স্তরের অবস্থান বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে সিএনএন। বিজ্ঞানীরা আটলান্টিক মহাসাগরের বায়োএরোসল কম্পোজিশন নিয়ে গবেষণা করেছেন। সেখানে তারা এমন একটি বায়ুমণ্ডলীয় অঞ্চলের সন্ধান পেয়েছেন যেখানে মানুষের কর্মকাণ্ডের কোনো প্রভাব পড়েনি। গবেষণা প্রতিবেদনটি সোমবার প্রসেডিংস অব দ্য ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অব সায়েন্স জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।
আবহাওয়া এবং জলবায়ুর প্রভাব পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পৃক্ত। মানুষের নানা কর্মকাণ্ডে জলবায়ুর দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে বিজ্ঞানীরা দীর্ঘদিন পৃথিবীর এমন একটি স্থানের সন্ধান করছিলেন যেখানকার বায়ুমণ্ডলে মানুষের কর্মকাণ্ডের কোনো প্রভাব পড়েনি।
অস্ট্রেলিয়ার তাসমানিয়া থেকে অ্যান্টার্টিক বরফ প্রান্ত পর্যন্ত নৌভ্রমণ করে সামুদ্রিক সীমানা স্তর থেকে বাতাসের নমুনা সংগ্রহ করেন বিজ্ঞানীরা। বায়ুমণ্ডলের ওই অংশটির সঙ্গে সমুদ্রের সরাসরি সম্পৃক্ততা রয়েছে। বায়ুমণ্ডলে পাওয়া নমুনা তারা পরীক্ষাগারে পরীক্ষা করেন। সেখানকার বাতাসে মানব সৃষ্ট কোনো ধরনের ক্ষতিকর কণা, যা সাধারণত জীবাশ্ম জ্বালানী কিংবা রাসায়নিকে থাকে এবং কারখানার দূষিত পানিতে থাকা কোনো কিছুর অস্তিত্ব মেলেনি। বিজ্ঞানীরা বলেছেন, অন্যান্য অঞ্চলের সমুদ্রের বাতাস থেকে আটলান্টিকের ওই অঞ্চলের বাতাস একেবারেই ভিন্ন।
বায়ু দূষণ এরই মধ্যে বিশ্বব্যাপী জনস্বাস্থ্যে ভয়াবহ সংকট সৃষ্টি করেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বায়ু দূষণজনিত কারণে বিশ্বে প্রতিবছর ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়।