শ্যামলবাংলা ডেস্ক : প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যু ক্রমেই বাড়ছে। দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ শনাক্ত ও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। ২৪ ঘণ্টায় ৪০ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এর আগে শনিবার একদিনে ২৮ জনের মৃত্যুর খবর দিয়েছিল স্বাস্থ্য বিভাগ। দেশে করোনা সংক্রমণের পর একদিনে এটাই সর্বোচ্চ মৃত্যুর ঘটনা। এ নিয়ে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা ৬৫০ জনে পৌঁছাল। নতুন করে মারা যাওয়া ৪০ জনের মধ্যে পুরুষ ৩৩ জন ও নারী ৭ জন। একই সঙ্গে গত চব্বিশ ঘণ্টায় আরও ২ হাজার ৫৪৫ জনের শরীরে নতুন করে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪৭ হাজার ১৫৩ জনে পৌঁছেছে। এর বিপরীতে গত চব্বিশ ঘণ্টায় আরও ৪০৬ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এ নিয়ে সর্বমোট ৯ হাজার ৭৮১ জন সুস্থ হয়েছেন। করোনা পরিস্থিতি নিয়ে নিয়মিত ভার্চুয়াল বুলেটিনে ৩১ মে রবিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা ওইসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় ১১ হাজার ৮৭৬ জনের করোনা পরীক্ষা করা হয়। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ৩ লাখ ৮ হাজার ৯৪০টি নমুনা। দেশে এখন ৫২টি ল্যাবে (পরীক্ষাগার) করোনা পরীক্ষা করা হয়। শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বিবেচনায় সুস্থতার হার ২০ দশমিক ৭৪ শতাংশ, মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩৮ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্তের হার ২১ দশমিক ৪৩ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের বিষয়ে তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরেন তিনি বলেন, মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে ৩৩ জন পুরুষ এবং সাত জন নারী। অঞ্চল বিবেচনায় ঢাকা বিভাগে ২৮ জন, চট্টগ্রামে বিভাগে আট জন, খুলনায় দু’জন এবং রংপুর ও রাজশাহী বিভাগে একজন করে রয়েছেন। বয়স বিবেচনায়, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে একজন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে পাঁচ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ১১ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে আট জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ১১ জন এবং ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে চার জন রয়েছেন।
করোনার ঝুঁকি এড়াতে স্বাস্থ্যবিধি মানায় জোর দিয়ে অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা বলেন, লকডাউন উঠে গেছে। এখন সবাইকে সাবধান থাকতে হবে। ইতিমধ্যেই এ বিষয়ে একটি গাইডলাইন দেওয়া হয়েছে, করোনা প্রতিরোধে যা সবাইকে মেনে চলতে হবে। মাস্ক পরা অত্যাবশ্যক। সবাইকে তামাক ছাড়ার আহবান জানান তিনি।