রেজাউল করিম বকুল, শ্রীবরদী (শেরপুর) ॥ প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে স্কুলের রাস্তাসহ পাশের জমির মাটি খনন করে মৃত্যুকূপ করেছে স্থানীয় একটি পক্ষ। এতে গর্ত করা হয়েছে প্রায় ২০ ফুট। গত ৫ হতে ৭ দিনে ভেকু দিয়ে ওই গর্ত করায় চরম আতংকে রয়েছেন স্কুলের ছাত্রছাত্রী, অভিভাবক ও পাশের মসজিদে আসা মুসল্লিসহ স্থানীয় বাসিন্দারা। এ ঘটনাটি ঘটেছে শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার গড়জরিপা ইউনিয়নের গড়জরিপা পূর্বপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের রাস্তা ও পাশের জমিতে। ওই গর্তে পড়ে যে কোনো সময় শিশুসহ যে কোনো বয়সের লোকের প্রাণহানী ঘটতে পারে বলে আশংকা করছেন তারা। বুধবার সরেজমিন গেলে দেখা যায়, ওই স্কুলের পাশে মৃত্যুকূপের চিত্র।
জানা যায়, গড়জরিপা পূর্বপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি স্থাপিত হয়েছে ১৯৮৭ সালে। সেখানে নির্মাণ হয় একটি পাকা ভবন। ওই ভবনে চলে ছাত্র-ছাত্রীদের পাঠদান। ওই স্কুলের উত্তর পাশেই রয়েছে একটি মসজিদ ও গড়জরিপা হতে শেরপুর আসার সড়ক। স্কুল সংলগ্ন উত্তর পাশে ২০ শতাংশ জমি নিয়ে স্থানীয় খলিলুর রহমান বিএসসি ও আলহাজ্ব মো. খলিলুর রহমান ফকিরের দ্বন্দ্ব চলছে। এ নিয়ে চলছে মামলা-মোকদ্দমাও।
করোনা ভাইরাসের প্রভাব ও ঈদের কারণে স্কুল বন্ধ থাকায় এবং প্রশাসন ত্রাণ বিতরণসহ নানা কার্যক্রমে ব্যস্ত থাকার সুযোগে বিরোধপূর্ণ ওই জমিতে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে আলহাজ্ব মো. খলিলুর রহমান ফকির সম্প্রতি ভেকু দিয়ে মাটি খনন করে মৃত্যুকূপ তৈরি করেন। এতে স্কুলের ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক, অভিভাবকসহ স্থানীয় কয়েকটি বাড়ির লোকজনের চলাচলের পথ বন্ধ হয়ে পড়েছে।
এদিকে বিরোধপূর্ন জমির প্রতিপক্ষ খলিলুর রহমান বিএসসি বলেন, এটা আমার মায়ের জমি। তারা জবর দখল করেছে। এমনকি আমাদের বিরুদ্ধে কোর্টে মামলাও করেছিল। ওই মামলায় আমাদের পক্ষে রায় হয়েছে। এখন হেরে যাওয়ার ভয়ে ওই জমির মাটি খনন করে মৃত্যুকূপ তৈরি করেছে। তবে এ ব্যাপারে আলহাজ্ব মো. খলিলুর রহমানের পক্ষ থেকে কেউ কোনো মন্তব্য না করলেও ওই মৃত্যুকূপে মাটি ভরাট করার কথা বলেছে। এমনকি ওই জমি তাদের বলেও তারা দাবি করেছে।
এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে গড়জরিপা ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমি দ্রুত মাটি ভরাট করে গর্ত পূরণ করতে বলেছি। আর ঘটনার বিষয়ে শ্রীবরদী থানার এসআই নজরুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি ইউপি চেয়ারম্যান দেখবেন। তবে উপজেলা শিক্ষা অফিসার জিয়াউল হক বলেন, আমি পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব।