ঝিনাইগাতী (শেরপুর) প্রতিনিধি : শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে কালবৈশাখী ঝড়ের ছোবলে ঘরবাড়ি, গাছপালা ও সবজি ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হয়েছে। ২৪ মে রবিবার রাতে উপজেলার নলকুড়া ইউনিয়নের গোমড়া গ্রামের উপর দিয়ে প্রচন্ড বেগে বয়ে যাওয়া কালবৈশাখী ঝড়ে ওই ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হয়। রাত ২টায় দ্বিতীয় দফা বয়ে যাওয়া কালবৈশাখী ঝড়ের তান্ডবে গোমড়া গ্রামের সালাউদ্দিন, মিজানুর রহমান, আসমত আলী, আব্দুল কুদ্দুস, মিছিরন বেওয়া, রুবেল মিয়া,সুরুজ আলী, আব্দুল আজিজ, রমজান আলী, অাব্দুর রাজ্জাক, শুকুর আলীসহ প্রায় অর্ধশত লোকের বাড়ি ঘর লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। ২৫ মে সোমবার বিকেলে সরেজমিনে অনুসন্ধানে দেখা গেছে, বিধ্বস্ত বাড়ি ঘরে লোকজন খোলা আকাশের নিচে। ঝড়ের তান্ডবে কৃষকদের কলা ও লিচু বাগান, আম,কাঠাল,কাঠ গাছ,মৌসুমি সবজি করল্লা, ঢেড়স, কাকরুলসহ বিভিন্ন জাতের সবজির মাচা বিধ্বস্ত হয়ে মাটিতে মিশে গেছে। হয়েছে ব্যাপক ক্ষতি সাধিত। ওইগ্রামের আঞ্জুয়ারা বেওয়া জানান, ২৫ শতাংশ জমিতে কাকরুল চাষ করেছেন। তিনি বলেন, ওই জমিটুকুই তার পরিবারের সদস্যদের জীবনজীবিকা নির্বাহের একমাত্র অবলম্বন। তিনি বলেন, ওই জমিতে সবজি চাষ করে যা আয় হয় তা দিয়ে চলে তার ৫সদস্যের পরিবারে সংসার। এবার তিনি কাকরুল চাষ করেছেন ওই জমিতে। কিন্তু কালবৈশাখীর ছোবলে কাকরুল ক্ষেতের মাচাটি মাটির সাথে মিশে গেছে। এভাবে পুরো গ্রামের শতাধিক কৃষকের সবজি ক্ষেতের একই অবস্থা। এ গ্রামের ইউপি সদস্য শাহ,জাহান মিয়া বলেন গ্রামের লোকজন সবাই প্রান্তিক কৃষক। এরা সবজি চাষের উপর নির্ভরশীল। তিনি বলেন,কালবৈশাখী ঝড়ে শতাধিক কৃষকের সবজি ক্ষেতের ক্ষতি সাধিত হওয়া তারা এখন দিশেহারা হয়ে পড়েছে। কৃষক,জামাল ভান্ডারী জানান ২০ শতাংশ জমিতে সবজি চাষ করে পরিবারের সদস্যদের ভরনপোষন যোগাই। কালবৈশাখী ঝড়ে সবজি ক্ষেতের ক্ষতি হওয়ায় তিনি এখন দিশেহারা। নলকুড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী ফর্সা বলেন, কালবৈশাখী ঝড়ে ওই গ্রামের শতাধিক কৃষকের সবজি ক্ষেতের ক্ষতি ও অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো,হুমায়ুন কবীর বলেন, কালবৈশাখীর তান্ডবে সবজি ক্ষেতের কিছু মাচা বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে তেমন কোন ক্ষতির সম্ভাবনা নেই। যাদের ক্ষতি হচ্ছে তাদের কৃষি প্রনোদনার আওতায় আনা হবে।