শ্যামলবাংলা ডেস্ক : দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনার পর মুসলিম সম্প্রদায় সোমবার উদযাপন করছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। প্রতি বছর এ ঈদ আনন্দের বার্তা বয়ে আনলেও এবছর বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে এক অন্য আবহে হচ্ছে ঈদ উদযাপন
করোনা মোকাবিলায় ও সংক্রমণ বিস্তার রোধে সরকারের নির্দেশনায় এবার খোলা মাঠে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হচ্ছে না। মসজিদের ভেতরে শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
এবার হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়নি। শত বছরের ঐতিহ্য ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ময়দানেও অনুষ্ঠিত হয়নি ঈদ জামাত। তবে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে প্রতি বছরের মতো এবারও ঈদের ৫টি জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মসজিদে জামাতে নামাজ পড়ার ওপর দেওয়া কড়াকড়ি সম্প্রতি তুলে নেওয়া হলেও এবার ঈদের দিন ঈদগাহ বা খোলা জায়গার বদলে বাড়ির কাছে মসজিদে ঈদের নামাজ পড়তে বলেছে সরকার। সেইসঙ্গে মসজিদে ঈদ জামাত আয়োজনের ক্ষেত্রে সুরক্ষার ব্যবস্থা এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বেশ কিছু শর্ত দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
বায়তুল মোকাররমে জামাত শেষে খুতবা পেশ করা হয়। এরপর অনুষ্ঠিত হয় দোয়া ও মোনাজাত। মোনাজাতে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনা করা হয়েছে। পাশাপাশি সম্প্রতি বৈশ্বিক করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতদের জন্য দোয়া করা হয়েছে। এছাড়া মোনাজাতে সব উম্মতে মোহাম্মদির গুনাহ মাফ চাওয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে মুসল্লিরা প্রবেশ করেন মসজিদে। ঈদ জামাত, কোলাকুলি ও হাত মেলাতে মানা থাকায় সেগুলো মেনেই ঈদের নামাজ আদায় করেছেন মুসল্লিরা।
এবার ঈদে চিরচেনা সেই পরিবেশ নেই রাষ্ট্রপতির বাসভবন বঙ্গভবনেও। প্রতি বছর জাতীয় ঈদগাহে দেশের প্রধান ঈদের জামাতে রাষ্ট্রপতি অংশ নেন। প্রতি বছর ঈদের দিন নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের পদচারণায় মুখর থাকে বঙ্গভবন, তবে করোনাভাইরাস সঙ্কটে এবার পরিস্থিতি ভিন্ন।
এবার পরিস্থিতি অন্যরকম থাকায় সকাল সাড়ে ৯টায় বঙ্গভবনের দরবার হলে পরিবারের সদস্য এবং ‘অতিপ্রয়োজনীয়’ কর্মকর্তাদের সঙ্গে ঈদের নামাজ পড়েন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। প্রতি ঈদে বঙ্গভবনের ক্রেডেনশিয়াল হলে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার আমন্ত্রিত অতিথিদের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন রাষ্ট্রপ্রধান।
মন্ত্রিসভার সদস্য, সংসদ সদস্য, রাজনীতিক, উচ্চ আদালতের বিচারপতি, শিক্ষাবিদ, কবি-সাহিত্যিক-শিল্পী, ব্যবসায়ী প্রতিনিধি, ধর্মীয় নেতারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকেন। অতিথিদের সঙ্গে রাষ্ট্রপতি করমর্দনও করেন। তবে করোনাভাইরাসের কারণে এবার বঙ্গভবনে কোনো ধরনের আনুষ্ঠানিক আয়োজন রাখা হয়নি।