শ্যামলবাংলা ডেস্ক ॥ পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে দ্বিতীয় ধাপে আরও প্রায় ৭ হাজার কওমি মাদ্রাসাকে ৮ কোটি ৬৩ লাখ টাকা অর্থ সহায়তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকদের ব্যাংক এ্যাকাউন্টে ইলেক্ট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার (ইএফটি) মাধ্যমে রবিবার বরাদ্দকৃত ওই অর্থ মাদ্রাসাগুলোতে পাঠানো হয়েছে। এর আগে প্রথম পর্যায়ে প্রায় ৭ হাজার মাদ্রাসাকে ৮ কোটি ৩১ লাখ টাকার অর্থ সহায়তা দেয়া হয়। দেশের কওমি মাদ্রাসার নেতৃবৃন্দ করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে পবিত্র রমজান ও ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই অনুদান প্রদানে তাকে অভিনন্দন জানানোর পাশাপাশি কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করেছেন।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম গণমাধ্যমকে জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে দেশের আরও ৬ হাজার ৯৭০টি কওমি মাদ্রাসাকে ৮ কোটি ২৩ লাখ ৪৫ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন। এই টাকা ইলেক্ট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফারের মাধ্যমে ১৭ মে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকদের ব্যাংক এ্যাকাউন্টে পাঠানো হয়েছে। ওই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি হাসান জাহিদ তুষার জানান, মাদ্রাসার ছাত্রসংখ্যার ভিত্তিতে অনুদান কম বেশি হতে পারে। মাদ্রাসার ছাত্রসংখ্যা এক শ’ বা এর কম হলে ১০ হাজার টাকা, শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১০১ থেকে ২০০ এর মধ্যে হলে ১৫ হাজার টাকা এবং ২১০ এর অধিক হলে ২০ হাজার টাকা করে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
জানা যায়, বরাদ্দকৃত অর্থের মধ্যে ঢাকা বিভাগের ২ হাজার ২০২টি মাদ্রাসার জন্য ২ কোটি ৫৫ লাখ ৩০ হাজার টাকা, চট্টগ্রাম বিভাগের ১ হাজার ২১১টি মাদ্রাসার জন্য এক কোটি ৭৭ লাখ ৬৫ হাজার, ময়মনসিংহ বিভাগের ৯৩৭টি মাদ্রাসার জন্য ১ কোটি ৩১ লাখ, রংপুর বিভাগের ৮৩৯টি মাদ্রাসার জন্য ৯৪ লাখ ২৫ হাজার, রাজশাহী বিভাগের ৬৬২টি মাদ্রাসার জন্য ৭৪ লাখ ৪৫ হাজার, খুলনা বিভাগের ৪৩১টি মাদ্রাসার জন্য ৫৫ লাখ ৮০ হাজার টাকা, সিলেট বিভাগের ৪৮৬টি মাদ্রাসার জন্য ৪৮ লাখ ৬০ হাজার টাকা এবং বরিশাল বিভাগের ২০২টি মাদ্রাসার জন্য ২৬ লাখ ৩৫ হাজার টাকা দেয়া হয়।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১৪ মে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ৫০ লাখ পরিবারের মধ্যে সাড়ে ১২শ’ কোটি টাকা ইলেক্ট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফারের মাধ্যমে প্রদান করার সময় পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরের আগেই দেশের সকল মসজিদ এবং আরও প্রায় ৭ হাজার মাদ্রাসায় আর্থিক সহায়তা প্রদানের ঘোষণা দিয়েছিলেন। ওই সময় প্রধানমন্ত্রী পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরের আগেই আরও প্রায় ৭ হাজার মাদ্রাসায় আর্থিক সহায়তা প্রদানের ঘোষণা দিয়েছিলেন।