স্টাফ রিপোর্টার ॥ করোনা ভাইরাসজনিত পরিস্থিতিতে লকডাউনে শেরপুর শহরে জীবিকার তাগিদে ইজিবাইক নিয়ে এসে লাশ হয়ে ফেরা সেই চালক খোকন মিয়ার পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে জেলা প্রশাসন। ১৬ মে শনিবার দুপুরে জেলা প্রশাসক আনার কলি মাহবুবের নির্দেশনায় শ্রীবরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিলুফা আক্তার স্থানীয় গোপালখিলা এলাকাস্থ খোকনের বাড়িতে গিয়ে তার পরিবারের হাতে নগদ ১০ হাজার টাকা, ২ প্যাকেট খাদ্য সামগ্রী ও একটি মানবিক সহায়তা কার্ড তুলে দেন। ওইসময় খোকনের বাবা-মা ও বিধবা স্ত্রীসহ ২ নাবালক শিশু সন্তান কান্নায় ভেঙ্গে পড়লে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাদের শান্তনা দেন এবং ভবিষ্যতে প্রশাসনের তরফ থেকে তাদের প্রতি আরও মানবিক সহায়তা থাকবে বলে আশ্বস্ত করেন।

এ ব্যাপারে শ্রীবরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিলুফা আক্তার বলেন, জেলা প্রশাসক আনার কলি মাহবুবের নির্দেশনায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিদ্যুতায়িত হয়ে মৃত খোকনের পরিবারের হাতে নগদ ১০ হাজার টাকা ও খাদ্যসামগ্রী তুলে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও সরকারের চলমান মানবিক সহায়তার আওতায় তার পরিবারকে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। ভবিষ্যতেও উপজেলা প্রশাসন ওই পরিবারে পাশে থাকবে।
এদিকে শাপলা চত্ত্বর ফোয়ারায় ইজিবাইক চালক খোকনের মর্মান্তিক মৃত্যুকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় চলছে। অনেকেই ওই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও জড়িতদের শাস্তি দাবি করেছেন।
উল্লেখ্য, ১৫ মে শুক্রবার বেলা ৩টার দিকে ইজিবাইক চালক খোকন শহরের খোয়ারপাড় শাপলা চত্ত্বর এলাকায় যাত্রী পরিবহন করতে গেলে লকডাউন থাকায় কর্তব্যরত পুলিশ ইজিবাইক নিয়ন্ত্রণ করতে অন্যান্য ইজিবাইকের মত খোকনের ইজিবাইকেরও পেছনের সিট খুলে নেয় । এক পর্যায়ে খোকনের ইজিবাইকের সিটটি শাপালা চত্ত্বর পানির ফোয়ারায় ফেলে দেয়া হয়। ওই সময় পানির ফোয়ারা থেকে ওই সিট তুলতে গিয়ে বিদ্যুতায়িত হয় খোকন। পরে ডিবি পুলিশ ও ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা স্থানীয়দের সহায়তায় দ্রুত তাকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলেও কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
