স্টাফ রিপোর্টার ॥ করোনা ভাইরাসজনিত পরিস্থিতিতে শেরপুরে পবিত্র মাহে রমজানে সদর উপজেলার ১৪ ইউনিয়ন ও পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে পর্যায়ক্রমে রোজাদারদের জন্য আওয়ামী লীগের সংরক্ষিত আসনের সাবেক এমপি, জেলা যুব মহিলা লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক এডভোকেট ফাতেমাতুজ্জহুরা শ্যামলীর ইফতারী পৌঁছে দেওয়া অব্যাহত রয়েছে। ইতোমধ্যে ১৪ মে বৃহস্পতিবার রমজানের ২০তম দিন পর্যন্ত সদর উপজেলার ১১ টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার ৭টি ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকায় পৌঁছে দেওয়া হয়েছে মজাদার ইফতারীর প্যাকেট। এর মধ্য দিয়ে রমজানজুড়ে প্রতিদিন ৫শ করে প্যাকেট বিতরণের ধারাবাহিকতায় ইতোমধ্যে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে ৯ হাজার পরিবারে ওই ইফতারী।
এদিকে, বৃহস্পাতিবার বিকেলে দু’টি পিকআপ ভ্যানের মাধ্যমে শহরের কয়েকটি এলাকা এবং সদর উপজেলার বেতমারী-ঘুঘুরাকন্দি ইউনিয়নের প্রত্যন্ত এলাকায় ওই ইফতারী পৌঁছে দেন সাবেক সাংসদ শ্যামলীর আদরজান ফাউন্ডেশনের লোকজন। বিভিন্ন এলাকায় ব্যবসায়ী, হতদরিদ্র ও যাতাযাতকারী রোজাদারদের মাঝে ওই ইফতারী বিতরণ করা হয়। এদিকে ইফতারী পেয়ে বেজায় খুশি লকডাউনে কর্মহীন হয়ে পড়া হতদরিদ্র মানুষজন। আর ওই ব্যতিক্রমী উদ্যোগে অভিভূত সচেতন মহলসহ অনেকেই।
এ ব্যাপারে সাবেক সাংসদ এডভোকেট ফাতেমাতুজ্জহুরা শ্যামলী মুঠোফোনে শ্যামলবাংলা২৪ডটকমকে বলেন, করোনা সংকটের এ মহাদুর্যোগকালীন সময়ে এবার পবিত্র মাহে রমজানে প্রতিদিন ইফতারী বিতরণের ধারাবাহিকতায় ইতোমধ্যে ১১ ইউনিয়ন ও পৌরসভার ৭টি ওয়ার্ডে বিতরণ শেষ হয়েছে। শেষ রমজান পর্যন্ত অবশিষ্ট এলাকায় পর্যায়ক্রমে ইফতারী পৌঁছে দেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, আমি সামর্থ্য অনুযায়ী মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছি। তারই ধারাবাহিকতায় করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে শেরপুর পৌর শহরসহ সদর উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নে কর্মহীন অসহায় মানুষের মাঝে সচেতনতা বাড়াতে মাস্ক, সাবানসহ খাদ্য সহায়তা বিতরণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২৫ এপ্রিল রমজানের প্রথম দিনে এডভোকেট ফাতেমাতুজ্জহুরা শ্যামলী নিজ হাতে শহরের ঢাকলহাটি এলাকা থেকে ওই ব্যতিক্রমী কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। এর পর থেকে প্রতিদিন সাবেক এমপি শ্যামলীর হাত ধরে ইফতারী পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন এলাকায়। এতে সহায়তা করছেন আদরজান ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা মোঃ উমর ফারুক, জেলা কৃষক লীগ নেতা মাহবুবুর রহমান লিটন, যুব মহিলা লীগ নেত্রী মাহবুবা রহমান শিমু প্রমুখ।