জাহাঙ্গীর হোসেন, নকলা (শেরপুর) : শেরপুরের নকলা উপজেলার বন্দটেকি গ্রামের প্রান্তিক কৃষক মোখছেদুল আলম (৪৫)। অনেক কষ্ট করে ৫০ শতক জমিতে ভুট্টার চাষ করেছিলেন। ভুট্টার মোচা পরিপক্ক হয়েছে, ফলনও হয়েছে বেশ। কিন্তু করোনায় লকডাউনের কারণে শ্রমিকের টাকা যোগাড় করতে না পারায় ভুট্রার মোচা তুলে ঘরে আনতে পারছিলেন না মোখছেদুল আলম। “মানবিক পুলিশের চোখে জনতার আকাঙ্খা লিখা থাকে” এ শ্লোগানে ৯ মে শনিবার সকালে শেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আমিনুল ইসলাম এবং নকলা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন শাহ, চন্দ্রকোনা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এসআই মোস্তাফিজুর রহমান ও সঙ্গীয় পুলিশ সদস্যরা মিলে ওই কৃষকের ৫০ শতক জমির ভুট্টার মোচা তুলে বাড়িতে পৌঁছে দিলেন। এ ব্যাপারে কৃষক মোখছেদুল আলম জানান, করোনায় লকডাউনের কারণে শ্রমিকের টাকা যোগাড় করতে না পারায় ভেবেছিলেন ভুট্টার আবাদ আর ঘরে তুলতে পারব না। কিন্তু পুলিশের এমন সহযোগিতা পেয়ে আমার পুরো পরিবার পুলিশের প্রতি কৃতজ্ঞ।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আমিনুল ইসলাম এ প্রতিনিধিকে বলেন, চন্দ্রকোনা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এসআই মোস্তাফিজুর রহমানের মাধ্যমে কৃষক মোখছেদুল আলমের অসহায়ত্বের কথা জানতে পেরে পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজীম পিপিএমের নির্দেশে কৃষক মোখছেদুলের ৫০ শতক জমির ভুট্টার মোচা তুলে বাড়িতে পৌঁছে দেয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন, পুলিশ জনগণের বন্ধু। করোনা বিপদকালীন সময়ে শেরপুর জেলা পুলিশ কৃষক, হতদরিদ্র, অসহায় ও শ্রমজীবী মানুষের পাশে আছে এবং থাকবে।