স্টাফ রিপোর্টার ॥ শেরপুরে করোনা আক্রান্ত আরও ৬ জন সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। এরা হচ্ছেন সদর উপজেলার আছাদুজ্জামান (৩৪) ঝিনাইগাতী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্টোরকিপার হারুন উর রশিদ (৩২), ঝিনাইগাতী থানার এসআই সাইদুল ইসলাম (৪৫), পুলিশ সদস্য তোফায়েল আহাম্মেদ (৪২), সারিকালিনগর গ্রামের আজিজের পুত্র শফিকুল ইসলাম সোহাগ (২৫) ও প্রতাবনগর গ্রামের মন্ডলের স্ত্রী রহিমা বেগম (৬৫)। ১৪ দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের পরীক্ষাগারে তৃতীয় দফায় ওই ৬ জনের নমুনা পরীক্ষায় করোনা ‘নেগেটিভ’ হওয়ার পর ৩ মে রবিবার দুপুরে তাদের হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়।
এদিকে ঝিনাইগাতী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ২ পুলিশ সদস্যসহ ৫ জনকে ছাড়পত্র দেবার সময় পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজীম, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (নালিতাবাড়ী সার্কেল) জাহাঙ্গীর আলম, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন, হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডাঃ মাজেদুর রহমান, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোখলেছুর রহমান, ঝিনাইগাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) ছরোয়ার হোসেন, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা এসআই অহিদুজ্জামানসহ হাসপাতালের চিকিৎসক ও অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পাওয়া পুলিশের এসআই সাইদুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, আল্লাহর অশেষ রহমতে ও পুলিশ সুপার মহোদয়ের সার্বিক তদারকি ও চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী তিনি ও তার এক সহকর্মী এখন সুস্থ। এজন্য তিনি পুলিশ সুপার ও চিকিৎসকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।
ইউএইচএফপিও জসিম উদ্দিন বলেন, হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীরা করোনায় আক্রান্ত রোগীদের সার্বক্ষণিক প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা দিয়েছেন। পরপর দুইটি পরীক্ষায় নেগেটিভ আসায় তাদের সুস্থ হিসেবে ছাড়পত্র দেওয়া হয়। করোনায় আক্রান্ত হলে ভয় না পেয়ে নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চলার কথা বলেন তিনি।
এদিকে শেরপুর জেলায় মোট ৩০ জন করোনা আক্রান্তের মধ্যে এ পর্যন্ত ৯ জন ভাল হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। দু’একদিনের মধ্যে আরও বড় সংখ্যক রোগী ছাড়পত্র পাওয়ার অপেক্ষায় আছেন বলে জানিয়েছেন শেরপুর সদর উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোবারক হোসেন।