দানবীর ভিক্ষুক
রাবিউল ইসলাম
…………………………………………………………
আল্লাহ্ তুমি দানের ফলে দাও যে প্রতিদান,
ভিক্ষুকের এক দানের খবর দিলো তার প্রমাণ!
শেরপুর জেলার উপজেলা নামটি ঝিনাইগাতি,
ধানের ক্ষেতে তাণ্ডব চালায় যেথায় বন্যহাতি।
বসত করে সেথায় কত নানান পেশার লোক,
তাদের মাঝে সন্ধান হলো দানবীর ভিক্ষুক।
ত্রাণের কাজে স্বেচ্ছাসেবক গেলে ঘরে ঘরে,
নজিম উদ্দীন ভিক্ষুক তখন প্রশ্ন তাদের করে।
মহামারি ঐ করোনার ভয়াল খবর জেনে,
ঘরের জন্য জমানো সব টাকা দিলেন এনে।
দুই বছরে জমা ছিলো হাজার দশেক টাকা,
দেশের জন্য দান করে দেন ঘরটা রেখে ফাঁকা।
করোনাতে বাঁচলে মানুষ বাঁচবে বাংলাদেশ,
ভিক্ষা করা টাকা তাইতো দানেই করলেন শেষ।
উপজেলা কর্মকর্তা রুবেল মাহমুদ স্যার,
বিস্ময় প্রকাশ করলেন এমন কাণ্ড দেখে তাঁর।
প্রকাশ করলো এই খবরটা টিভি যমুনা,
জানতে পারলেন দেশের প্রধান শেখ হাসিনা।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জেনে অবস্থা,
রুবেল স্যারকে করতে বলেন ঘরের ব্যবস্থা।
শেরপুর জেলার ডিসি সাহেব আনার কলি স্যার
অফিস কক্ষে ডেকে দিলেন সম্মান উপহার!
জরাজীর্ণ ঘরে যেথায় কুপি বাতি জ্বলে,
ভাগ্য বদল হলো যে তাঁর মহান দানের ফলে।
ভিক্ষুক থেকে নজিম পেলেন দানবীরের খ্যাতি
বিশ্বের সবাই চিনলো তাকে ধন্য করলো জাতি।
শেরপুরবাসী গর্বিত এই মহান দাতার জন্য
শোনামাত্রই সকল মানুষ বলছে তাঁকে ধন্য।
খুশি হয়ে দান করুন তাই নিজের সাধ্যমত
হাদিস মতেও দানের ফলে সম্পদ বাড়ে শত।