ads

মঙ্গলবার , ২১ এপ্রিল ২০২০ | ৩০শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধনপ্রাপ্ত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
  1. ENGLISH
  2. অনিয়ম-দুর্নীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আমাদের ব্লগ
  6. ইতিহাস ও ঐতিহ্য
  7. ইসলাম
  8. উন্নয়ন-অগ্রগতি
  9. এক্সক্লুসিভ
  10. কৃষি ও কৃষক
  11. ক্রাইম
  12. খেলাধুলা
  13. খেলার খবর
  14. চাকরির খবর
  15. জাতীয় সংবাদ

শ্রীবরদীতে ত্রাণ পেলেন ভিক্ষুকরা

শ্যামলবাংলা ডেস্ক
এপ্রিল ২১, ২০২০ ৬:২০ অপরাহ্ণ

শ্রীবরদী (শেরপুর) প্রতিনিধি : শাপলা বেগম, জমিলা বেওয়া, করিমন নেছা, আয়েশা বেওয়াসহ অনেকে দল বেঁেধ ভিক্ষে করে। একদিন ভিক্ষে না করলে চুলায় আগুন জ্বলে না। চাল ওঠেনা হাড়িতে। ওদের জীবন-জীবিকা ভিক্ষের ওপর। সম্প্রতি করোনা ভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে থাকতে হচ্ছে ঘরে। এতে এক বেলাও আগুন জ্বলেনা চুলায়। চলছে এ বাড়ি ও বাড়ি চেয়ে চিমটে। প্রতিবেশীরা সহযোগিতা না করলে থাকতে হয় অনাহারে। এতে অর্ধাহার আর অনাহারে দিন কাটতে হচ্ছে তাদের। এমন পরিবারের সংখ্যা শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলা সদর ইউনিয়নের মামদামারী, ধামাহাট. ধাতুয়া ও হেলিপোর্টসহ আশপাশের গ্রামের সহস্রাধিক। এদের মধ্যে শাপলা, জমিলা, করিমন নেছা ও আয়শা বেওয়ার স্বামী দীর্ঘদিন যাবত স্বামী মারা গেছে। ছেলে মেয়েরা আলাদা হয়েছে। চলতে হয় নিজের আয়ে। তাদের এক মাত্র উপার্জনের পথ ভিক্ষে করা। তারা জানান, আজও তাদের নামে কোনো সহায়তার কার্ড হয়নি। এমনকি চলমান পরিস্থিতে কেউ তাদেরকে কোনো প্রকার সহযোগিতা করে নাই। এমন পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার এগিয়ে এসেছেন মামদামারী গ্রামের বাসিন্দা বিশিষ্ট শিল্পপতি ও দানশীল ব্যাক্তি শ্যামলবাংলা২৪ডটকমের উপদেষ্টা সম্পাদক মোঃ সোলায়মান খাঁন মজনু। তিনি এসব অভাবী ও ক্ষুধার্ত মানুষগুলোর মাঝে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে নিয়মিত দিয়ে যাচ্ছেন চাল, ডালসহ নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী। এসব চাল, ডাল ও খাদ্য সামগ্রী তার পক্ষ থেকে বিতরণ করছেন তার ছোট ভাই দৈনিক মানবজমিনের জেলা প্রতিনিধি ও অনলাইন নিউজপোর্টাল শ্যামলবাংলা২৪ডটকমের বার্তা সম্পাদক এবং বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ফরিদুজ্জামান ফরিদ। তিনি ওইসব অভাবী ও অনাহারে থাকা সহস্রাধিক লোকের ঘরে ঘরে গিয়ে তুলে দেন চাল, ডাল, তেল ও লবণসহ খাদ্য সামগ্রী।

Shamol Bangla Ads

ত্রাণসামগ্রী পেয়ে অভাবী ও ক্ষুধার্ত লোকজন জানান, সোলায়মান খাঁন মজনু নিজের টাকা খরচ করে তাদের বিপদের সময় খাদ্য সামগ্রী দিয়ে সহায়তা করছেন। অথচ সরকারিভাবে তারা এখনও কোনো সহায়তা পাননি। এ জন্য স্থানীয় প্রশাসনের কাছে তারা ত্রাণ সহায়তার দাবিও করেন। আয়শা বেওয়া বলেন, ঘরে এডা মাইয়া এডা নাতি আছে। করোনার লাইগা অহন ঘর থেকে বের হওন যায় না। মানষের কাছে চাইয়া চলতাছি। কয়দিন মানষে দিবো। তার প্রতিবেশী শাপলা বেগম বলেন, মজনু ভাইয়ের সহযোগিতায় ৪/৫ দিন চলতে পারুম। পরে ক্যামনে চলুম। মানষের বাসায় কাজ করতাম। অহন কাজও নেয় না। ক্যামনে চলুম। এর লাইগা সরহারের কাছে আমরা সাহায্য চাই। একি গ্রামের জমিলা বেওয়া বলেন, মিলেটারিগরে শাসন দেখছি। স্বাধীনতা যুদ্ধও দেখলাম। ৭৪ দেখলাম। মেলা বয়স অইছে। এমন দুর্যোগ চোহে পড়ে নাই। ঘরে ভাত নাই। হঠাৎ দেহি ফরিদ আইছে। এডা ব্যাগে চাল, ডাল, তেল, লবন, সাবান ও কাচাঁ বাজার। এডা দিয়া কয়দিন চলুম। পরে কি খাইমু? এভাবে চলতে থাকলে পরবর্তীতে কিভাবে খাবার জোগার করবে এ নিয়ে শংকিত তারা।
এ সময় ফরিদুজ্জামান ফরিদ বলেন, এই দুর্যোগের সময় অনাহারে অর্ধাহারে থাকা লোকজনদের কিছুটা সহায়তা দেওয়াটা মানবিক কাজ। মানুষ মানুষের জন্যে। এ জন্য ব্যক্তিগত অর্থায়নে এসব ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করছি। যাতে কয়েকদিন দু’বেলা ঠিকমতো খেতে পারে। পরবর্তীতেও এই সহায়তা অব্যাহত রাখবেন বলেও জানান তিনি।

সর্বশেষ - ব্রেকিং নিউজ

error: কপি হবে না!