স্পোর্টস ডেস্ক : ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড আর রিয়াল মাদ্রিদ, দুটো ক্লাবেই ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো ছিলেন ডেভিড বেকহ্যামের উত্তরসূরি। তাই লিওনেল মেসি-রোনালদোর শ্রেষ্ঠত্বের তর্কে বেকহ্যামের রায়ে রোনালদো কিছুটা সুবিধা পেলেও পেতে পারতেন। কিন্তু সাবেক ইংলিশ মিডফিল্ডার বেছে নিলেন মেসিকেই। জানালেন, জুভেন্তাস ফরোয়ার্ডের চেয়ে একধাপ এগিয়েই আছেন বার্সেলোনা অধিনায়ক।
সম্প্রতি আর্জেন্টাইন সংবাদ মাধ্যম তেলামকে দেয়া এক সাক্ষাত্কারে তিনি জানান নিজের গুণমানে মেসি অপ্রতিদ্বন্দ্বী। বেকহ্যামের ভাষ্য, ‘খেলোয়াড় হিসেবে নিজ মানে সে অদ্বিতীয়। তার মতো কাউকে পাওয়াটা অসম্ভব।’
শেষ এক যুগ ধরে ফুটবল বিশ্বে একরকম দ্বৈত শাসনই প্রতিষ্ঠা করেছেন মেসি আর রোনালদো। এ সময়ে টানা নয় বছর ব্যালন ডি অর আর ফিফা বর্ষসেরা ভাগাভাগি করার কৃতিত্বও দেখিয়েছেন দুজনে। এমন কীর্তির ফলে দুজনের এই লড়াইকে অনেকেই দেখেন সর্বকালের সেরা দ্বৈরথ হিসেবে।
ব্যক্তিগত লড়াইয়ে মেসিকে রোনালদোর চেয়ে এগিয়ে রাখলেও বেকহ্যামের মতে এই দুজন আবার অন্যদের চেয়ে অনেক ব্যবধানে এগিয়ে আছেন। তিনি বলেন, ‘সে আর ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো, যে মেসির সমমানে নেই; দুজনেই অন্যদের চেয়ে অনেক ওপরে অবস্থান করছে।’
বেকহ্যাম ক্যারিয়ারে শেষবারের মতো মেসির বার্সার মুখোমুখি হয়েছিলেন ২০১৩ সালে, পিএসজির হয়ে। ২০১২-১৩ মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ কোয়ার্টার ফাইনালে সেবার ৩-৩ গোলে ড্র করেও অ্যাওয়ে গোল নিয়মে বিদায় নিয়েছিল তার দল। সে ম্যাচে চোটের কারণে মেসি মাঠে নেমেছিলেন দ্বিতীয়ার্ধে, দল যখন সবে পিছিয়ে পড়েছে। তার নামার পরই গোল পান পেদ্রো, যাতে অবদান ছিল আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ডেরও। ন্যু ক্যাম্পের লড়াইয়ে সমতা ফেরায় কাতালান দলটি।
সে স্মৃতি রোমন্থন করে বেকহ্যাম বলেন, ‘মেসি মাঠে আসার আগে আমরা এগিয়েই ছিলাম। আর যখনই সে এলো, বার্সেলোনা গোলটা পেয়ে গেল! যদিও সে বয়সে আমি খেলাটা উপভোগের জন্যেই চালিয়ে যাচ্ছিলাম, তবুও হারাটা কখনোই পছন্দের তালিকায় ছিল না আমার।’
তবে সে ম্যাচে না হারার স্মৃতিটাকে এখনো আগলে রেখেছেন বেকহ্যাম। তিনি বলেন, ‘আমাদের দল তখন ভালো খেলছিল, দুই ম্যাচেই; আমরা গর্ব করার মতোই পারফরম করেছিলাম। বার্সার বিপক্ষে হারিনি, ব্যাপারটা আমাদের উজ্জীবিত করেছিল।’