স্টাফ রিপোর্টার ॥ শেরপুরে সজন মাদকাসক্তি চিকিৎসা ও পুনর্বাসন কেন্দ্রের চেয়ারম্যানের উপর হামলার অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলনের প্রতিবাদে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করেছেন নিউ নিরোধ মাদকসক্তি নিরাময় কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক সাহিদুর রহমান বিপন। ১৩ এপ্রিল সোমবার সন্ধ্যায় শহরের গৌরীপুরস্থ নিউ নিরোধ মাদকসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে ওই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সাহিদুর রহমান বিপন বলেন, সজন মাদকাসক্তি চিকিৎসা ও পুনর্বাসন কেন্দ্রের চেয়ারম্যান মেহের খান অপুর উপর হামলার অভিযোগ তুলে তার স্ত্রী সংবাদ সম্মেলনে সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও মনগড়া তথ্য দিয়েছেন। প্রকৃতপক্ষে আমরা একদল তরুণ ২০১৫ সাল থেকে শেরপুরকে মাদকমুক্ত করার জন্য কাজ করে যাচ্ছি। ‘আমাদের অঙ্গীকার মাদকমুক্ত পরিবার’ এ শ্লোগান নিয়ে আমরা চিকিৎসার মাধ্যমে মাদকাসক্তদের সুস্থ জীবনে ফিরিয়ে দিচ্ছি। আর এ কারণেই সজন মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রের মালিক অপু আমাদের বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লাগে, যাতে আমরা লাইসেন্স না পাই। কিন্তু আমরা আমাদের প্রতিষ্ঠানের সেবা সুনামের সাথে অব্যাহত রাখায় গত ১১ মার্চ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে নিউ নিরোধ মাদকসক্তি নিরাময় কেন্দ্রের লাইসেন্স পাই। তারপর থেকেই অপু আমাদের বিরুদ্ধে তার ফেসবুক আইডি থেকে নানা অপপ্রচার চালিয়ে আসছে। ওই ঘটনায় আমরা থানায় জিডিও করেছি।
তিনি আরও বলেন, এরপরও অপু আমাদের প্রতিষ্ঠান চালাতে দেবে না এবং আমাকে ও আমার বড় ভাই বিন্দুকে মেরে ফেলবে বলে নানা জায়গায় বলে বেড়াচ্ছিল। এরই মধ্যে গত পরশু মধ্য রাতে অপু, পিপুল তার দলবল নিয়ে আমাদের চিকিৎসা কেন্দ্রের নিচে এসে গালিগালাজ করতে থাকে এবং প্রতিষ্ঠানের ব্যানার-পোস্টার ছিড়ে ফেলে। শব্দ শুনে আমরা নিচে গেলে বাকিরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও অপু মোটরসাইকেলসহ আটক হয়। পরে আমরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুনকে জানালে তিনি পুলিশ পাঠান। পরে এসআই সুরেশ সাহাসহ ফোর্স এসে তাকে নিয়ে যান। তারপর অপু তাদের নিরাময় কেন্দ্রে গিয়ে নিজেরাই ভাংচুর করে মিথ্যা নাটক সাজিয়েছে। তাদের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। আমরাও সদর থানায় তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছি। বিপন বলেন, আমরাও চাই তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত সত্য ঘটনা উঠে আসুক।
সংবাদ সম্মেলনে নিউ নিরোধ মাদকসক্তি নিরাময় কেন্দ্রের চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান বিন্দু, তার বড়ভাই পৌর প্যানেল মেয়র তৌহিদুর রহমান বিদ্যুৎসহ স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।