স্টাফ রিপোর্টার ॥ শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভারের পর এবার করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ওই হাসপাতালের স্টোরকিপার। ১৩ এপ্রিল সোমবার সন্ধ্যায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবরেটরীর পাঠানো নমুনা পরীক্ষায় তার কভিড-১৯ ‘পজিটিভ’ ধরা পড়েছে। তার বাড়ি উপজেলার মালিঝিকান্দা ইউনিয়নের কাঁঠালতলী গ্রামে। তাকে আইসোলেশনে নেওয়া হয়েছে। ওই ঘটনায় ঝিনাইগাতী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং ওই স্টোরকিপারের বাড়িসহ ১৫ বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। এ নিয়ে ঝিনাইগাতী উপজেলায় দুই হাসপাতাল স্টাফসহ আক্রান্ত হলেন ৩ জন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সিভিল সার্জন ডাঃ একেএম আনওয়ারুর রউফ জানান, গত ৯ এপ্রিল ঝিনাইগাতী হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স চালক করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হন। তাই তার সংর্স্পশে আসা হাসপাতালের চিকিৎসক ও অন্যান্য স্টাফদের পাঠানো নমুনা পরীক্ষার ফলাফলে অন্যদের নেগেটিভ রেজাল্ট আসলেও ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্টোরকিপারের ফলাফল কভিড-১৯ ‘পজিটিভ’ এসেছে। আর গত এক সপ্তাহে জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২ নারী, এক শিশুসহ ৬ জন। আক্রান্তদের সকলকেই স্বাস্থ্য বিভাগের হাসপাতালগুলোতে করোনা ইউনিটে আইসোলেশনে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুবেল মাহমুদ জানান, যেহেতু উপজেলা হাসপাতালের ২ স্টাফের করোনা পজিটিভ হয়েছে, তাই হাসপাতালটি লকডাউন করা হয়েছে। এছাড়া ওই স্টোরকিপারের গ্রামের বাড়ী মালিঝিকান্দা ইউনিয়নের ১৫ বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।