শ্যামলবাংলা ডেস্ক : কয়েকদিন আগে বিশ্বব্যাপী মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন আবিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত রোগটির প্রাদুর্ভাব রোধে লকডাউন ব্যবস্থা পুরোপুরি তুলে নেওয়া উচিত হবে না বলে জানিয়েছিলেন গবেষকরা। এবার একই কথা জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। সংস্থাটি বলছে, করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে লকডাউনসহ জারি করা বিধিনিষেধ যদি খুব দ্রুত প্রত্যাহার করা হয় তাহলে সংক্রমণ ভয়ঙ্করভাবে ফিরতে পারে। শুক্রবার সংস্থার প্রধান ড. টেড্রোস আডানোম গেব্রিউসুস জেনেভায় এক সংবাদ সম্মেলেন এই সতর্ক বার্তা দিয়েছেন। খবর বিবিসির।
ডব্লিউএইচও’র হুঁশিয়ারি এমন সময় আসলে যখন স্পেন ও ইতালিসহ ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশ করোনার বিস্তার ঠেকাতে লকডাউন জারি রাখলেও কিছু বিধিনিষেধ শিথিল করার বিষয়টি বিবেচনা করছে। সংবাদ সম্মেলনে ড. টেড্রোস বলেন, বিধিনিষেধ শিথিল করার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। তিনি বলেন, অতি দ্রুত লকডাউন প্রত্যাহার করা হলে ভাইরাসটি ভয়ঙ্করভাবে ফিরে আসতে পারে। যদি উপযুক্ত ব্যবস্থাপনা না হয় তাহলে এটি হবে বিপজ্জনক।
এর আগে চিকিৎসাবিষয়ক জার্নাল দ্য ল্যানসেটে প্রকাশিত গবেষণাপত্রে গবেষকরা বলেছেন, চীন থেকে শুরু হওয়া মারণ ভাইরাস করোনার প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে দেশটি কঠোর লকডাউন আরোপ করেছিল। এতে করোনার প্রথম ধাক্কায় তারা সামাল দিতে পেরেছে।
গবেষকরা গাণিতিক মডেল ব্যবহার করে দেখিয়েছেন, আগেভাগেই লকডাউন তুলে নিলে এ ভাইরাসের সংক্রমণ দ্বিতীয় দফায় আঘাত হানতে পারে। আর এটি হবে আরও ভয়ঙ্কর।
চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথম করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দেয়, যেখান থেকে ছড়িয়ে পড়ে পুরো বিশ্বে। চীনা কর্তৃপক্ষ উহানে ৭৬ দিনের মাথায় লকডাউন তুলে নিয়েছে। তবে কিছু ক্ষেত্রে এখনও বিধিনিষেধ বলবৎ রয়েছে। তারা এখনও ঝুঁকির বিষয়ে সজাগ রয়েছেন। সেজন্যই দেশের ট্রেন চলাচল ও পর্যটনস্পট এখনও পুরোপুরি চালু করা হয়নি।
বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৬ লাখ ৯৮ হাজার ৪১৬ জন। এদের মধ্যে মারা গেছেন ১ লাখ ২ হাজার ৭৬৪ জন।