শ্যামলবাংলা ডেস্ক : আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্য আন্দোলন ও নির্বাচনে ব্যর্থ রাজনীতিকের অসংলগ্ন প্রলাপ ও ব্যর্থতার বেসামাল বহিঃপ্রকাশ। ৪ এপ্রিল শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ‘প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে সৃষ্ট বৈশ্বিক সংকটের এই সময়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মতো দায়িত্বশীল রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব যখন দায়িত্ব ও কাণ্ডজ্ঞানহীনভাবে বক্তব্য রাখেন তখন জাতি হতাশ হয়। তার বক্তব্য আন্দোলন ও নির্বাচনে ব্যর্থ হওয়া একজন দিশেহারা রাজনীতিকের অসংলগ্ন প্রলাপ ও ব্যর্থতার বেসামাল বহিঃপ্রকাশ।’
কাদের বলেন, সারা বিশ্বে সকল মানুষ একযোগে যখন এই সংকট মোকাবেলায় এক প্লাটফর্মে দাঁড়িয়েছে তখন অর্বাচীনের মতো মির্জা ফখরুলের রাখা বক্তব্য জাতিকে বিভ্রান্ত করে। তাদের এই বালখিল্যতার কারণে গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে মির্জা ফখরুল জনগণ দ্বারা প্রত্যাখ্যান হয়েছেন।
সেতুমন্ত্রী বলেন, মির্জা ফখরুলরা ভুল তথ্য উপস্থাপন করে জাতিকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। দুর্যোগের এই মূহুর্তে বিভেদ নয়-এটা তাদের বোধগম্য নয়। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা এই সময়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে জনগণকে সতর্ক, সচেতন করার কাজ করে চলেছে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সরকার শুরু থেকেই একটি গাইডলাইন প্রস্তুত করে রেখেছে এবং এই ভাইরাস প্রতিরোধে সচেতন ও দায়িত্বশীল জনগণকে প্রধান নিয়ামক ধরে সম্মিলিত প্রয়াস গড়ার লক্ষ্যে কাজ করে চলেছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনা আপদকালীন সময়ে জাতির অভিভাবক হিসেবে গত ২৫ মার্চ সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভাষণে সুনির্দিষ্ট কর্মসূচি ও কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরেছেন। মির্জা ফখরুল ইসলামরা যদি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গৃহীত এই সকল কর্মসূচিকে ভিত্তি ধরে কোন প্রস্তাব দিতেন আমরা মনে করি সেটা জাতির জন্য আশাব্যঞ্জক হতো।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, সরকার করোনা ভাইরাস সংক্রমণে অন্য দেশের তুলনায় নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হওয়ায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীররা ব্যথিত হয়েছেন। মৃতের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে হয়তো তারা খুশি হতেন। মৃত্যুর হার নিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যে মন্তব্য করেছেন সেটা থেকে প্রমাণিত হয় উনি গণিতের সাধারণ সূত্রই জানেন না। তিনি বলেন, ফখরুল ইসলাম আলমগীর যে প্রস্তাব উত্থাপন করেছেন তা আমাদের অর্থনীতির ঊর্ধ্বগামী সম্ভাবনার বিপরীত। এই ধরনের বিভ্রান্তিকর তথ্য জনগণকে শুধু হতাশই করতে পারে। বাসস