স্টাফ রিপোর্টার ॥ করোনা ভাইরাস উপসর্গ সন্দেহে নমুনা পরীক্ষায় শেরপুরের আরও ১০ জনের ফলাফল নেগেটিভ পাওয়া গেছে। ৪ এপ্রিল শনিবার বিকেলে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটের ফলাফল উদ্বৃত করে শেরপুরের সিভিল সার্জন ডাঃ একেএম আনওয়ারুর রউফ ওই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে নালিতাবাড়ী উপজেলার পলাশীকুড়া গ্রামে আব্দুল আওয়াল নামে এক নির্মাণ শ্রমিক করোনা উপসর্গে মারা গেলে তারও নমুনা পরীক্ষায় রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। এর মধ্য দিয়ে জেলায় এখন পর্যন্ত কোন করোনা রোগী শনাক্ত হয়নি। অন্যদিকে করোনা উপসর্গ সন্দেহে নতুন করে আরও ৫ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। রবিবার সকালে সেগুলো পরীক্ষার জন্য ময়মনসিংহে পৌঁছানো হবে।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের করোনাসংক্রান্ত দায়িত্বে থাকা সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডাঃ মোবারক হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার হাঁচি-কাশি ও জ্বরসহ করোনার উপসর্গে নকলা সদর ইউনিয়নের ধনাকুশা বাজারসংলগ্ন এলাকায় মাসুদ মিয়া (৩০) ও তার মা সুফিয়া বেগম (৫০) নামে দু’জন, সদর উপজেলার যোগিনীমুড়া কান্দাপাড়া এলাকার বাসিন্দা ঢাকায় বসবাসকারী ইয়াকুব আলী (৪৮), ঘুঘুরাকান্দি উত্তরপাড়া গ্রামের কৃষক পরিবারের যুবক আবির (২২) ও ঝিনাইগাতী উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ ফাইজুর রাজ্জাক আকন্দ (৫০) সহ ৫ জন এবং শুক্রবার জেলার বিভিন্ন এলাকার আরও ৫ জনের নমুনা সংগ্রহ করে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। পরে সেগুলো পরীক্ষার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে পাঠানো হলে শনিবার দুপুরে সবগুলো রিপোর্টই নেগেটিভ আসে। অর্থাৎ ওই ১০ জনের কারও শরীরেই করোনার উপস্থিতি পাওয়া যায়নি। একই উপসর্গে শনিবার সদর উপজেলার ভাতশালা ইউনিয়নের ছনকান্দা এলাকার ১ মহিলার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। সেইসাথে ওই মহিলার স্বামীর বাড়িসহ লছমনপুর এলাকাস্থ বাবার বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।
এছাড়া একইদিন শ্রীবরদী উপজেলার বিভিন্ন এলাকার আরও ৪ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন শ্রীবরদী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডাঃ আনোয়ার হোসেন। তাদেরকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।