স্টাফ রিপোর্টার ॥ শেরপুরে জমি নিয়ে বিরোধে বাবা-ছেলেসহ ৪ জনকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে আহত করার মামলায় আসামিদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন হামলার শিকার ব্যক্তিরা। ২ এপ্রিল বৃহস্পতিবার দুপুরে সদর উপজেলার পাকুরিয়া ফকিরপাড়া গ্রামে হামলার শিকার পরিবারের পক্ষ থেকে এলাকায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ওই দাবি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন হামলায় আহত পাকুরিয়া ফকিরপাড়া গ্রামের আব্দুস ছামাদের ছেলে আফাজ উদ্দিন।
সম্মেলনের বক্তব্য ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন যাবত ৬ শতাংশ জমি নিয়ে পাকুরিয়া ফকিরপাড়া গ্রামের আব্দুস ছামাদের সঙ্গে প্রতিবেশী খোরশেদ আলমের বিরোধ ও মামলা-মোকদ্দমা চলে আসছিল। এ নিয়ে একাধিকবার শালিস-বৈঠক হলেও বিষয়টির সুরাহা হয়নি। গত ২৭ মার্চ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আব্দুস ছামাদ ও তার ৩ ছেলে আনার মিয়া, আনিস মিয়া ও আফাজ উদ্দিন পাকুরিয়া ফকিরপাড়া গ্রামের বাড়িসংলগ্ন ওই জমিতে রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করছিলেন। ওই সময় প্রতিবেশী খোরশেদ আলমের নেতৃত্বে ৭ সন্ত্রাসী পূর্বপরিকল্পিতভাবে রামদা, ফালা, লোহার রড, শাবল, খুন্তিসহ বিভিন্ন অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ওই জমি বেদখল করার উদ্দেশ্যে তাদের ওপর হামলা করেন। হামলায় আব্দুস ছামাদ ও তার ৩ ছেলে গুরুতর আহত হন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় এলাকাবাসী তাদের উদ্ধার করে প্রথমে জেলা সদর হাসপাতাল ও পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। হামলায় আব্দুস ছামাদ ও তার ছেলেদের মাথাসহ শরীরের বিভিন্নস্থানে গুরুতর জখম হয়। ৩০ মার্চ সোমবার চিকিৎসক ছাড়পত্র দিয়ে তাদের বাড়িতে থাকার পরামর্শ দেন।
প্রতিপক্ষের ওই নির্মম হামলার ঘটনায় আহত আফাজ উদ্দিনের স্ত্রী রাজিয়া বেগম বাদী হয়ে গত ২৮ মার্চ শনিবার খোরশেদ আলমকে প্রধান আসামি করে ৭ জনের বিরুদ্ধে সদর থানায় হত্যা চেষ্টা মামলা করেন। কিন্তু মামলার প্রায় এক সপ্তাহ পরও কোন আসামি গ্রেফতার হয়নি। এতে তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন ও তাদের ওপর পুনরায় হামলার আশঙ্কা করছেন। আহত আফাজ উদ্দিন হামলার ঘটনায় জড়িত সকল আসামিকে গ্রেফতারের জন্য পুলিশ সুপারের কাছে দাবি জানান।
এ ব্যাপারে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, পুলিশ মামলাটি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করছে ও জড়িত আসামিদের গ্রেফতারে চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
উল্লেখ্য, গত ২৭ মার্চ সদর উপজেলার পাকুরিয়া ফকিরপাড়া গ্রামে প্রতিপক্ষের লোকজনের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে বাবা-ছেলেসহ ৪ জনকে নৃশংসভাবে আহত করার ঘটনা ঘটে।