উড়ন্ত মানবী
অরবিয়া তানজীল
……………………………………………………………………………………………………………………………………………………………..
জ্বরের তিক্ততার কাছে নিকোটিনের স্বাদও বড় বিস্বাদ হয়ে উঠে খুব সহজেই! মোহ বা আবেগ হলো জ্বরের মতো যার রেশ কড়া লিকারের দুধ চায়ের মতো হলেও স্থায়িত্ব খুবই সীমিত! এই শহরে অনহারে এাকটি রাত বা একটি দিবস পাড় করলেও কেউ মরে না,পর পর কয়েকটা দিন অনাহারে পাড় হলেও কেউ প্রাণ হারায় না! খুব বিশ্বাসের জায়গায় ঠুনকো আঘাত কিংবা প্রচন্ড ভরসার হাতে একটু দূরত্ব আসলেই মৃত্যু হয় আত্মার! রোজ নিয়ম করে প্রতিটা রাতে জীবন্ত লাশ ঘুন পোকা খাই,শুধু একটা মানুষ আর সাজানো এক গুচ্ছ স্বপ্ন দ্বিখন্ডিত হয় বলে!
ইট পাথরের এই কংক্রিটের শহরের প্রাচীরের মতোও যদি শক্ত হতো সম্পর্কগুলো তাহলে জীবন জুড়ে এতটা হতাশা উড়ে এসে ভিড় জমাতো না!
মৃত্যু যন্ত্রণায় এক সময় ফিকে হয়ে যায় যায়, সময় আহাজারি মুছে দেয় কিন্তু জীবন্ত বিচ্ছেদ প্রতিনিয়ত হাহাকার তৈরি করে!
সম্পর্কগুলো বদলায় না, ভালোবাসা বদলায় না,বদলায় মানুষের আত্মিক বাসনা! মানুষই কেবল একা মানুষের থাকে, অপর মানুষ তো শীতকালীন অতিথি পাখি! আমি মায়ার পিঞ্জর বানিয়েছিলাম, আমি সাজিয়েছিলাম ভালোবাসার আদূরে বসতভিটা, সকল বসতি জুড়ে আজ আমার শূন্যতা, দিন শেষে কোন কিছু আটকে থাকে না,সবাই চাই অমিমাংসিত খোলা আসমান!
তুমি মানে আমি আর আমি মানে তুমি, তবুও দুইজন মানুষ, দুইটি আলাদা জীবন,আলদা হাজার বছর পুরোনে গল্প!
নিজের হাতে চোখ বন্ধ করে দাবি জানিয়েছিলাম আমাকে কেউ দেখবে না,ধরে রাখারা জন্য বায়না করেছিলাম সব তো আমার মনের মতো,আজও সমীকরণ শেষে আমার উত্তরমালায় ফলাফল ভুল!