স্টাফ রিপোর্টার ॥ গত এক মাসে শেরপুর জেলায় বিভিন্ন দেশ থেকে প্রায় ৯ শতাধিক প্রবাসী বাড়ি ফিরেছে। সারা বিশ্বের সাথে বাংলাদেশও করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর দেখা মিললেও বিদেশ থেকে আগত ওইসব প্রবাসীরা রয়েছে প্রশাসনের অগোচরে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে অনেক চেষ্টা করে মাত্র ১০১ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা সম্ভব হয়েছে।
সরকার এবং জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বার বার আহবান জানানো হলেও বিদেশফেরত ওইসব লোকজন রয়েছেন আত্মগোপনে। শেরপুর জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে বিদেশফেরতদের হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখতে আনার জন্য দিন রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। কিন্তু বিদেশ ফেরত ওইসব লোক ও তাদের পরিবারের পক্ষ থেকে সহযোগিতা না পাওয়ায় কোয়ারেন্টাইনে আনা সম্ভব হচ্ছে না।
করোনা পরিস্থিতি সম্পর্কে শেরপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এবিএম এহছানুল মামুন রবিবার রাতে শ্যামলবাংলা২৪ডটকমকে জানান, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৮ মার্চ পর্যন্ত বিভিন্ন দেশ থেকে ফেরত আসা ৯২০ জন প্রবাসীকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখার জন্য জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালানো হচ্ছে। বিদেশফেরতদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। যারা নির্দেশনা মানছেন না, ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালিয়ে তাদের জরিমানা করা হচ্ছে।
সিভিল সার্জন ডাঃ একেএম আনওয়ারুর রউফ জানান, করোনা ভাইরাসের বিষয়ে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় রয়েছে। ইতোমধ্যে জেলা সদর হাসপাতালে আইসোলেশন ওয়ার্ডসহ ২টি উপজেলা হাসপাতাল ও দু’টি উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে মোট ১৫০টি শয্যা করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে। প্রয়োজনে এটি আরও বাড়ানোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।