শূন্য
অরবিয়া তানজীল
………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………
জীবন শব্দের সন্ধিবিচ্ছেদের শেষ ভাগ বা ফলাফল হলো” মৃত্য “যা চিরন্তন সত্য এবং নির্মম বাস্তবতা।
মৃত্যুতে কোন ভয়াবহতা নেই কারন সৃষ্টির এই অমীমাংসিত বাস্তবতার সাথে পরিচিত হয়েই আমরা জীবনটাকে যাপন করি।
মৃত্যর মাঝে আছেএকটা অসহায়ত্ব!যখন এটা সুনিশ্চিত হয়ে যাবে কোন একটা প্রাণঘাতী মরণ ব্যাধি তোমার দেহে বাসা বেধেছে যা থেকে বাচার কোন উপায় জানা নেই।
এক সময়ের সবচেয়ে প্রিয়মুখ, আপনজন, সব কিছু ছেড়ে তোমাকে শূন্যে মিশে যেতে হবে।তুমি চাইলেও আর কখনোই এই প্রিয় কিংবা মায়ার কাছে ফিরে আসতে পারবে না।এই শূন্য মিশে যাওয়াই জীবনের সবচেয়ে বড় অসহায়ত্ব!
এখন মনে হচ্ছে জীবন সত্যি একা।সারাজীবন শুধু নিজের একটা মানুষ,নিজের একটা আপনালয়ের জন্য অদৃশ্য লড়াই চালিয়ে যাই কিন্তু দিনশেষে জীবনের পথটুকু একা গোপনে পাড়ি দিতে হয়।
যার আঘাতে একসময় সবচেয়ে বেশি অশ্রু ঝরিয়েছি, যাদের কাছে অপমান বা কটু কথা নীরবে সহ্য করেছি,মিথ্যা অভিযোগে যাদের চোখে ঘৃণ্য হয়েছিলাম বা একটা তীব্র পীড়াদায়ক অতীতের ছবিরেখায় কখনো নির্বাক রয়েছিলাম সবকিছু এক মূহুর্তে ম্লান করে চলে যেতে হবে।হয়ত আর কখনো মা বাবা শব্দ দুটি উচ্চারণ করার ক্ষমতা রবে না,ভালোবসার মানুষটাকে আর কখনো অভিমানের সুরে কোন অভিযোগ করা হবে না।
বেচে থাকার এই ৩০ বা ৪০ বছর এক সেকেন্ডে মাটির সাথে মিশে যাবে।এই বাতাসে আর হয়ত আমার শরীরের গন্ধ ভেসে বেড়াবেনা,হারিয়ে যাবে সব অস্তিত্ব নামহীন কোন গন্তব্যে।
এই তো এতটুকুই জীবন গল্প!বাতাসে মিশে আছে মৃত্য,চোখের পলকে কিংবা প্রতিটি নিশ্বাসে মৃত্যুর ঘ্রাণ। “বেচে থাকাটাই মিথ্যা,মৃত্যই একমাত্র সত্য এবং চিরন্তন! “
প্রকাশনায়:- মইনুল হোসেন প্লাবন
কবি, সাংবাদিক, মানবাধিকার কর্মী ও উদ্যোক্তা:- শেরপুর কবি-সাংবাদিক ঐক্য পরিষদ, শেরপুর।।
মেইল : plabon.press@gmail.com