ads

শনিবার , ২১ মার্চ ২০২০ | ২১শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধনপ্রাপ্ত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
  1. ENGLISH
  2. অনিয়ম-দুর্নীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আমাদের ব্লগ
  6. ইতিহাস ও ঐতিহ্য
  7. ইসলাম
  8. উন্নয়ন-অগ্রগতি
  9. এক্সক্লুসিভ
  10. কৃষি ও কৃষক
  11. ক্রাইম
  12. খেলাধুলা
  13. খেলার খবর
  14. চাকরির খবর
  15. জাতীয় সংবাদ

ঝিনাইগাতীতে চাঁদা না পেয়ে মাছ ধরার খড়া গুড়িয়ে দিলো প্রভাবশালীরা

শ্যামলবাংলা ডেস্ক
মার্চ ২১, ২০২০ ১২:২৪ অপরাহ্ণ

ঝিনাইগাতী (শেরপুর) প্রতিনিধি ॥ চাঁদা না পেয়ে বাদশা মিয়া নামে এক অসহায় দরিদ্র মৎস্যজীবির মাছ ধরার খড়া গুড়িয়ে দিয়েছে প্রভাবশালীরা। বাদশা মিয়া শেরপুর সদর উপজেলার কুড়ালীয়াকান্দা গ্রামের মৃত গিয়াস উদ্দিনের ছেলে। ঘটনাটি ঘটে ১৭ মার্চ মঙ্গলবার ভোর রাতে। এ ব্যাপারে বাদশা মিয়া বাদী হয়ে আনারুল হক সাট্টুসহ ৫ জনের নামে ঝিনাইগাতী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। এ ব্যাপারে আনারুল হকের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমার জমির উপর দিয়ে নদীটি প্রবাহিত হওয়ায় বাদশা মিয়ার কাছ থেকে ভাড়া হিসেবে উক্ত টাকা নিয়েছি। তিনি বলেন, বাদশা মিয়া খড়াটি সড়িয়ে না নেওয়ায় আমি খড়ার দরি কেটে দিয়েছি।
জানা গেছে, বাদশা মিয়া একজন দরিদ্র মৎস্যজীবি। তিনি মাছ ধরার জন্য ঋণধার করে মালিঝি নদীর বানিয়াপাড়াতে একটি খড়া বসান। ওই খড়া বসিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মাছ শিকার আসছিলেন তিনি। কিন্তু মাছ শিকারে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে তারই প্রতিবেশি ঝিনাইগাতী উপজেলার হাসলিগাঁও গ্রামের প্রভাবশালী আনারুল হক সাট্টু ও তার লোকজন।
বাদশা মিয়া জানান, নদী থেকে মাছ ধরার সময় আনারুল ও তার লোকজনকে নিয়মিত চাঁদা হিসেবে মাছ ও নগদ টাকা দিতে হয়। তার দাবী অনুযায়ী চাঁদা না দিলে তিনি মাঝেমধ্যেই তার বাহিনী দিয়ে বাদশা মিয়ার মাছ ধরার খড়াটি ভেঙ্গে দিতো।
তিনি জানান, প্রতি বছর আনারুলকে ২০হাজার টাকা করে চাঁদা দিতে হতো। সম্প্রতি আনারুল হক বাদশা মিয়ার কাছ থেকে ৫০হাজার টাকা চাঁদা দাবী করে। তার দাবী অনুযায়ী চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় ঘটনার দিন আনারুল ও তার লোকজন বাদশা মিয়ার খড়া ও মাছ ধরার নৌকাটি ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়। মাছ ধরার জালটিও কেটে টুকরা টুকরা করে ফেলে।
বাদশা মিয়া আরও জানান, ২ ছেলে ৩ মেয়েসহ ৭ সদস্যের পরিবার তার। তিনি জলাশয় থেকে মাছ ধরে বাজারে বিক্রি করে যা আয় হয় তাই দিয়ে কোন রকমে খেয়ে না খেয়ে চলে তার সংসার। ছেলেমেয়েদের পড়ালেখার খরচ জোগাতে হিমশিম খেতে হয় বাদশা মিয়াকে। যেদিন জালে মাছ না আটকে সেদিন পরিবারের সদস্যদের নিয়ে অনাহারে অর্ধাহারে দিন কাটে তাদের। আনারুল ও তার লোকজন বাদশা মিয়ার বেঁচে থাকার একমাত্র অবলম্বন মাছ ধরার খড়াটি গুড়িয়ে দেয়ায় তিনি এখন দিশেহারা। কি দিয়ে তার পরিবারের সদস্যদের ভরণ-পোষণ জোগাবে এ চিন্তায় তিনি এখন বিপর্যস্ত।
থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস.আই খোকন চন্দ্র সরকার বলেন, বাদশা মিয়ার লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সর্বশেষ - ব্রেকিং নিউজ

error: কপি হবে না!