শ্যামলবাংলা ডেস্ক : দেশব্যাপী বিভিন্ন মহলের নানা আলোচনা, সমালোচনা থাকলেও মহামারি ভাইরাস করোনা আতঙ্কের মধ্যেই ৩টি আসনে উপ-নির্বাচনের ভোটগ্রহণ করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ২০ মার্চ শনিবার সকাল ৯টায় শুরু হয়েছে ঢাকা-১০, গাইবান্ধা-৩ ও বাগেরহাট-৪ আসনের উপ-নির্বাচনের ভোটগ্রহণ । বিরতিহীনভাবে যা চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। ৩ টি আসনের মধ্যে ঢাকা-১০ আসনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএমে)।
ইসি সচিব আলমগীর করোনা ভাইরাসের প্রকোপের মধ্যেই ভোটের আয়োজনের বিষয়ে বলেছেন, ভোটকেন্দ্রে হ্যান্ড স্যানিটাইজার থাকছে। ভোটার ভোট দেওয়ার আগে হাত ধুয়ে ভোট দেবেন। ভোট দিয়ে আবার হাত ধুবেন। এছাড়া কেউ যদি করোনায় আক্রান্ত আছেন বলে মনে করেন, তাকে ভোটকেন্দ্রে না আসার জন্য পরামর্শও দিয়েছেন তিনি।
ঢাকা-১০ আসন:
এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. শফিউল ইসলাম ‘নৌকা, বিএনপি প্রার্থী শেখ রবিউল আলম ‘ধানের শীর্ষ’, জাতীয় পার্টির হাজী মো. শাহজাহান ‘লাঙল’, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মিজানুর রহমান চৌধুরী ‘ডাব’, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের নবাব খাজা আলী হাসান আসকারী ‘হারিকেন’ এবং প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দলের (পিডিপি) আব্দুর রহীম ‘বাঘ’ প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ আসনের ৩ লাখ ১২ হাজার ২৮১জন ভোটার তাদের ভোটধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাচ্ছেন। নির্বাচনে ১১৭টি ভোটকেন্দ্রে ৭৭৬টি ভোটকক্ষে ভোটগ্রহণ করা হচ্ছে। এ আসনটি ধানমণ্ডি ও লালবাগ থানা নিয়ে গঠিত।
গাইবান্ধা-৩ আসন:
এ আসনের চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আওয়ামী লীগের উম্মে কুলছুম স্মৃতি ‘নৌকা’, বিএনপির অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মইনুল হাসান সাদিক ‘ধানের শীষ, জাতীয় পার্টির মইনুর রাব্বী চৌধুরী ‘লাঙল’, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের এসএম খাদেমুল ইসলাম খুদি ‘মশাল’ প্রতীক নিয়ে ভোটের লড়াই করছেন। সাদুল্ল্যাহপুর ও পলাশবাড়ী উপজেলা নিয়ে আসনটি গঠিত। ৪ লাখ ৮ হাজার ৭৪ জন ভোটার নির্বাচনে ভোট দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। ভোটগ্রহণ করা হচ্ছে ১৩২টি ভোটকেন্দ্রের ৭৮৬টি ভোটকক্ষে।
বাগেরহাট-৪:
এ উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মো. আমিরুল আলম মিলন ‘নৌকা’ ও জাতীয় পার্টির সাজন কুমার মিস্ত্রী ‘লাঙল’ প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মোড়লগঞ্জ ও শরণখোলা উপজেলা নিয়ে আসনটি গঠিত। নির্বাচনে ২ লাখ ৯৭ হাজার ৪৩৪ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাচ্ছেন। ভোটগ্রহণ করা হচ্ছে ১৪৩টি ভোটকেন্দ্রের ৬২৯টি ভোটকক্ষে।
ঢাকা-১০ আসনটি গত ২৯ ডিসেম্বর, গাইবান্ধা-৩ আসনটি গত ২৭ ডিসেম্বর ও ১০ জানুয়ারি বাগেরহাট-৪ আসনটি শূন্য হয়। সংবিধান অনুযায়ী, আসন শূন্য হওয়ার পরবর্তী নব্বই দিনের মধ্যে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠানের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সে অনুযায়ী, ঢাকা-১০ আসনে ২৭ মার্চ, গাইবান্ধা-৩ আসনে ২৫ মার্চ ও বাগেরহাট-৪ আসনে ৮ এপ্রিলের মধ্যে নির্বাচনের বাধ্যবাধকতা থাকায় এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।