স্টাফ রিপোর্টার ॥ হাজার হাজার মানুষের ভক্তি-শ্রদ্ধায় অভিসিক্ত হয়ে শেষ বিদায় নিয়েছেন শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, প্রবীণ রাজনীতিক ও সমাজ সেবক মোজাম্মেল হক (৮০)। ১৫ মার্চ রবিবার বেলা আড়াইটায় শেরপুর সরকারি কলেজ মাঠে তার নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। এতে মরহুমের স্মৃতিচারণ করে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হুইপ আতিউর রহমান আতিক এমপি, সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট চন্দন কুমার পাল পিপি, শেরপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য প্রকৌশলী একে ফজলুল হক চাঁন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর রুমান, পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজীম পিপিএম, জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য মাহমুদুল হক রুবেল, আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদের সদস্য মোঃ খোরশেদুজ্জামান, জেলা জাতী পার্টির সভাপতি মোঃ ইলিয়াস উদ্দিন, পৌর মেয়র গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া লিটন, সদর উপজেলা চেয়াম্যান রফিকুল ইসলাম, সাবেক চেয়াম্যান ছানুয়ার হোসেন ছানু, ঝিনাইগাতী উপজেলা চেয়াম্যান এসএম আব্দুল্লাহেল ওয়ারেজ নাইম, নালিতাবাড়ী উপজেলা চেয়ারম্যান মকছেদুর রহমান লেবু, নকলা উপজেলা চেয়াম্যান শাহ মোহাম্মদ বুরহান উদ্দিন, মরহুমের বড় ছেলে লিমন প্রমুখ। পরে হুইপ আতিক, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রুমান ও পৌর মেয়র লিটন মরহুমের কফিনে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করেন। এরপর পৌর কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
উল্লেখ্য- আওয়ামী লীগ নেতা মোজাম্মেল হক ১৪ মার্চ শনিবার রাত সাড়ে ৮টায় লিভার জটিলতাসহ নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে শহরের বাগরাকসাস্থ নিজ বাসায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি ২ ছেলে, এক কন্যাসহ বহু আত্মীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথে দলীয় অঙ্গনসহ শহরে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। মৃত্যুর খবর শোনার পর থেকেই দলীয় নেতা-কর্মীরা ছুটে যান বাসায় তাকে একনজর দেখার জন্য।
স্বাধীনতা আন্দোলন, ৭৫ পরবর্তী আন্দোলনসহ স্বৈরাচার ও বিএনপি-জামায়াত জোটবিরোধী আন্দোলনে শেরপুরে আওয়ামী লীগের অন্যতম কাণ্ডারী, দীর্ঘ ২১ বছর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী সাহসি প্রবীণ নেতা মোজাম্মেল হক আড়াই বছর ধরে লিভার জটিলতাসহ নানা রোগে গুরুতর অসুস্থ ছিলেন। ভারতে চিকিৎসা শেষে ফেরত এসে অর্থ সংকটে অবহেলা-অনাদরেই কষ্টের প্রহর গুণছিলেন শহরের বাগরাকসা মহল্লার বাসায়। এ নিয়ে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে গণভবনে ডাক পড়ে মোজাম্মেল হকের। পরে ২০১৯ সালের ২৪ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা তার হাতে নগদ ১ লাখ ও ২০ লাখ টাকার চেকসহ ২১ লাখ টাকার সহায়তা তুলে দেন।