শ্যামলবাংলা ডেস্ক : সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডের জন্য নতুন অভিজ্ঞতাই বটে। ট্রান্স-তাসমান লড়াই তথা দুই প্রতিবেশীর লড়াইয়ে সিডনিতে দর্শক ঢল থাকাই প্রত্যাশিত ছিল। কিন্তু বিশ্বব্যাপী মহামারি হিসেবে ধরা দেয়া করোনা ভাইরাসের কারণে সিডনির গ্যালারি রাখা হলো ফাঁকা। দর্শকশূন্য গ্যালারি, এর মধ্যেই অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড সিরিজের প্রথম ওয়ানডে খেলল। এদিন সিডনির গ্যালারিতে গিয়ে বল কুড়িয়ে আনতে হয়েছে দুই দলের ক্রিকেটারদের।
নিস্তরঙ্গ এ ম্যাচেনিউজিল্যান্ডকে ৭১ রানে পরাজিত করেছে অস্ট্রেলিয়া। ফলে তিন ম্যাচের সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেল স্বাগতিকরা। আগামীকাল সিডনিতেই সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হবে দুই দল। ২০ মার্চ হোবার্টে হবে তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে।
মেলবোর্নে গত ৮ মার্চ নারী টি-২০ বিশ্বকাপ ফাইনালে হাজির হয়েছিল ৮৬ হাজার দর্শক। তাদের মধ্যে একজন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর আসতেই ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া নড়েচড়ে বসে। দর্শক ছাড়াই নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয় তারা। গত কয়েক দিনে বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসের প্রভাবও বেড়েছে বেশ। সিডনিতে গতকাল শুধু অনুমোদিত মিডিয়া ও সম্প্রচারকর্মীরা ভেন্যুতে ছিলেন। তাদের প্রতিও কড়া নির্দেশ ছিল, দুই দলের ক্রিকেটার ও স্টাফদের সঙ্গে নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।
অস্ট্রেলিয়ার জয়ের বড়ো অবদান মিচেল মার্শের। অলরাউন্ড পারফরম্যান্স করে ম্যাচ সেরা হয়েছেন তিনি। ব্যাট হাতে ২৭, বল হাতে ২৭ রানে ৩ উইকেট নেন মার্শ। টস জয়ী অস্ট্রেলিয়া তিন হাফ সেঞ্চুরিতে ৭ উইকেটে ২৫৮ রান তুলেছিল। যদিও ওপেনিংয়ে ওয়ার্নার-ফিঞ্চের ১২৪ রানের জুটিতে বড়ো স্কোরের সম্ভাবনা জেগেছিল। কিন্তু এমন ভিত পেয়েও মিডল অর্ডারে বড়ো ইনিংস না আসায় ২৫০ পেরিয়ে থামতে হয়েছে স্বাগতিকদের। ওয়ার্নার ৬৭, ফিঞ্চ ৬০ রান করেন। স্মিথ ১৪ রান করে স্যান্টনারের বলে বোল্ড হয়েছেন। লাবুশেন ৫৬ রান করেন। শেষ দিকে কামিন্স অপরাজিত ১৪, স্ট্রার্ক অপরাজিত ৯ রান করেন। নিউজিল্যান্ডের ইশ শোধি তিনটি, স্যান্টনার-ফারগুসন ২টি করে উইকেট পান।
টার্গেটটা বড়ো ছিল না। এই টার্গেট পাড়ি দিতে প্রয়োজনীয় বড় ইনিংস খেলতে পারেননি নিউজিল্যান্ডের কোনো ব্যাটসম্যান। ৪১ ওভারে ১৮৭ রানে গুটিয়ে যায় নিউজিল্যান্ড। অস্ট্রেলিয়ার পেসাররাই উইকেটে থিতু হতে দেননি কিউই ব্যাটসম্যানদের। মার্শ, কামিন্স, হ্যাজেলউড মিলে নিয়েছেন ৮ উইকেট। মার্শ-কামিন্স ৩টি করে, হ্যাজেলউড নেন ২টি উইকেট। বাকি দুই উইকেট নিয়েছেন লেগ স্পিনার জামপা। নিউজিল্যান্ডের পক্ষে লড়েছেন গাপটিল, ল্যাথাম ও গ্র্যান্ডহোম। গাপটিল ৪০, ল্যাথাম ৩৮, গ্র্যান্ডহোম ২৫ রান করেন। অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন ১৯, স্যান্টনার ১৪, ইশ সোধি অপরাজিত ১৪, নিকোলস ১০ রান করেন।