নকলা (শেরপুর) প্রতিনিধি ॥ শেরপুরের নকলায় সপ্তম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে যৌন পীড়নের অভিযোগে আব্দুল জলিল রানা (৪৫) নামে এক যুবলীগ নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ৩ মার্চ মঙ্গলবার রাতে উপজেলার গণপদ্দী এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। অন্যদিকে ওই ঘটনায় রাতেই আব্দুল জলিল রানাকে যুবলীগ থেকে বহিস্কার করা হয়েছে। জলিল উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামের চাঁন মিয়ার পুত্র ও গণপদ্দী ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক। বুধবার দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের নিয়মিত মামলায় রানাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। ওই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক তোলপাড় চলছে।
জানা যায়, নকলা উপজেলার গণপদ্দী এলাকার কৃষক পরিবারের মেয়ে ও স্থানীয় উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির ওই শিক্ষার্থীকে যুবলীগ নেতা আব্দুল জলিল রানা মঙ্গলবার সকালে ফুসলিয়ে গণপদ্দী এলাকাস্থ তার ভাড়া বাসায় নিয়ে যায়। ওই অবস্থায় মেয়েটিকে বাড়িতে না পেয়ে তার পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি করার এক পর্যায়ে তাকে রানার ভাড়া বাসার একটি কক্ষে পায়। বিষয়টি জানাজানি হয়ে পড়লে স্থানীয়রা তাদের দু’জনকে প্রায় ৬ ঘন্টা আটক করে রাখে। পরে বিকেলে ওই শিক্ষার্থীর পিতার অভিযোগের প্রেক্ষিতে থানা পুলিশ দু’জনকেই থানায় নিয়ে যায়।
এদিকে ওই ঘটনা জানাজানি হয়ে পড়লে রাতেই উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক রফিকুল ইসলাম সোহেলের সভাপতিত্বে এক জরুরি সভায় নারীঘটিত অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত হয়ে সংগঠনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অভিযোগে আব্দুল জলিল রানাকে দল থেকে বহিস্কার করা হয়। পরে স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের বিষয়টি অবহিত করা হয়। তবে যুবলীগ নেতা আব্দুল জলিল রানা অভিযোগ অস্বীকার করে দাবি করেন, ওই ঘটনার সাথে তিনি জড়িত নন। মেয়ের পরিবার ও এলাকার কতিপয় লোক পরিকল্পিতভাবে তার বিরুদ্ধে ওই অভিযোগ তুলেছে।
এ ব্যাপারে নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন শাহ জানান, স্কুলছাত্রীকে ফুসলিয়ে যৌন পীড়নের অভিযোগে আব্দুল জলির রানার বিরুদ্ধে থানায় নিয়মিত মামলা রুজু হয়েছে।