স্টাফ রিপোর্টার ॥ শেরপুরে বেতমারি-ঘুঘুরাকান্দি ইউনিয়নবাসীর উদ্যোগে আয়োজিত বীর মুক্তিযোদ্ধা আতিউর রহমান ফুটবল টুর্নামেন্টে ফটিয়ামারি ফুটবল একাদশ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। ২৭ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার বিকেলে চরখারচর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত ফাইনাল খেলায় ফটিয়ামারি ফুটবল একাদশ ২-০ গোলে জামালপুরের ডৌয়াতলা ফুটবল একাদশকে পরাজিত করে। খেলার প্রথমার্ধে ফটিয়ামারি একাদশের পক্ষে রক্ষণভাগের খেলোয়াড় শামীম মিয়া এবং দ্বিতীয়ার্ধে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ খেলা আক্রমণভাগের নাইজেরিয়ান খেলোয়াড় ডুডু গোল দু’টি করেন। উভয় দলেই দেশীয় খেলোয়াড়ের পাশাপাশি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ খেলা নাইজেরিয়া এবং রুয়ান্ডার একাধিক খেলোয়াড় অংশগ্রহণ করেন। বিপুল সংখ্যক দর্শক ফাইনাল খেলাটি উপভোগ করেন। দর্শকের চাপে খেলা শুরু হওয়ার ৫ মিনিটের মাথায় মাঠের উত্তরপ্রান্তের চরখারচর উচ্চ বিদ্যালয়ের একটি টিনশেড ভবনের টিনের চাল ধসে পড়লে খেলা দেখতে আসা ১৬ দর্শক আহত হন। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
শেরপুর-১ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য হুইপ আতিউর রহমান আতিক প্রধান অতিথি হিসেবে খেলা উপভোগ করেন এবং খেলা শেষে বিজয়ী ও বিজিত দলের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ করেন। চ্যাম্পিয়ন ফটিয়ামারি ফুটবল একাদশকে ১১০ সিসি একটি একটি টিভিএস মোটর সাইকেল এবং রানারআপ ডৌয়াতলা ফুটবল একাদশকে একটি ওয়ালটন ফ্রিজ পুরষ্কার প্রদান করা হয়। এছাড়া গোলদাতা ডুডু ম্যান অব দি ফাইনাল এবং পল্লী বিদ্যুৎ একাদশের ফুয়াদ খান টুর্ণামেন্ট সেরা খেলোয়াড় হিসেবে মোবাইল ফোন পুরষ্কার লাভ করেন।
পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শেরপুর পৌরসভার মেয়র গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া লিটন, হুইপ কন্যা সাদিয়া রহমান অপি, বেতমারি-ঘুঘুরাকান্দি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ মজু, টুর্নামেন্ট কমিটির সভাপতি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম প্রমুখ। স্থানীয় জনগণের আবদারের প্রেক্ষিতে হুইপ আতিক চরখারচর এলাকার ফুটবল মাঠ উন্নয়নে নতুন করে এক বিঘা জমি ক্রয় করে মাঠ সংস্কারের আশ^াস দেন। এ ফুটবল ফাইনাল খেলাকে কেন্দ্র এদিন পুরো বেতমারি-ঘুঘুরাকান্দি ও আশপাশের এলাকায় ছিলো উৎসবমুখর পরিবেশ। দুপুরের পর থেকেই মাঠের চারদিক খেলা পাগল দর্শকের উপস্থিতিতে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে ওঠে। এমনকি আশপাশের হাই স্কুল, প্রাইমারি স্কুল ভবন এবং বিভিন্ন গাছপালায় ওঠে লোকজন খেলা উপভোগ করেন। এ টুর্নামেন্টে চরাঞ্চলের ১২টি ফুটবল দল অংশগ্রহণ করে। ফাইনাল খেলার পর রাতে ওই মাঠেই এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।