স্টাফ রিপোর্টার ॥ শেরপুরে যুব রেড ক্রিসেন্টের উদ্যোগে পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৭ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার দুপুরে শহরের ডিসি উদ্যানে গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী ও মুখরোচক হরেক রকম পিঠা নিয়ে ওই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।
পিঠা উৎসবে পাটি সাপটা, পুলি পিঠা, চিতই পিঠা, ভাপা পিঠা, তেলের পিঠা, খেজুর পিঠা, জামাই পিঠা, সুজির রসবড়ি, দুধপুলি, চন্দ্রপুলিসহ প্রায় ৫০ রকমের পিঠার আয়োজন করা হয়। ফুল, পাতাসহ বাহারি নকশার ওইসব পিঠাপুলির স্বাদ পেতে পিঠা উৎসবের স্টলে ভিড় জমান নারী-পুরুষ শিশুসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ।
জেলা যুব রেড ক্রিসেন্টের প্রধান ইউসুফ আলী রবিন বলেন, বাঙালির গ্রামীণ ঐতিহ্য এ পিঠা পুলি শহুরে জীবনে অনেকটা হারিয়ে যেতে বসেছে। আমাদের ইতিহাস-ঐতিহ্য ধরে রাখতে যুব রেড ক্রিসেন্টের উদ্যোগে এ পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। নতুন প্রজন্মের মাঝে দেশীয় সংস্কৃতি ও গ্রামীণ ঐতিহ্য তুলে ধরতেই আমাদের এ ক্ষুদ্র প্রয়াস।
পিঠা উৎসবে অংশ নেয়া নুরুন নাহার লাজুফা ও হাসিনা জাহান হাসি বলেন, বাঙালির সাথে পিঠার একটি ঐতিহ্য জড়িয়ে আছে। বাঙালির কোন উৎসব মানে পিঠা থাকবেই। পিঠা উৎসবে আমরা সবাই অনেক আনন্দ করছি।
পিঠা উৎসবে ঘুরতে আসা মানবাধিকার সংগঠন আমাদের আইনের শেরপুর জেলা শাখার চেয়ারম্যান নুর-ই-আলম চঞ্চল জানান, যুব রেড ক্রিসেন্টের এ পিঠা উৎসব দেখে আমি সত্যিই অভিভূত। এমন চমৎকার পিঠা উৎসবের জন্য আয়োজকদের ধন্যবাদ জানাই।
এ ব্যাপারে জেলা রেড ক্রিসেন্টের উপ-পরিচালক হায়দার আলী বলেন, শুধু ফাস্টফুডের দিকে না গিয়ে গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী পিঠা-পুলির দিকে নজর দেওয়া উচিত। তাই গ্রামের মানুষ যে পিঠা উৎসব করে তার আঙ্গিকেই এ উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। এবারই প্রথম এ উৎসব করা হলেও আগামীতে এর ধারাবাহিতা বজায় রাখা হবে।