শ্যামলবাংলা ডেস্ক : পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন-পিবিআই তদন্তের পর জানিয়েছে, হত্যাকাণ্ড নয়, পারিবারিক কলহসহ নানা কারণে মানসিক যন্ত্রণায় বাংলা চলচ্চিত্রের অমর নায়ক সালমান শাহ আত্মহত্যা করেন। ২৪ ফেব্রুয়ারি সোমবার সকালে ধানমন্ডিতে পিবিআই সদর দপ্তরে এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান পিবিআই প্রধান পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) বনজ কুমার মজুমদার।
মামলার তদন্ত প্রতিবেদন চূড়ান্ত জানিয়ে তিনি বলেন, চিত্রনায়ক সালমান শাহকে হত্যার অভিযোগের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। পারিবারিক কলহসহ নানা কারণে মানসিক যন্ত্রণায় তিনি আত্মহত্যা করেন। কয়েক দফা তদন্তে সালমান শাহর মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলে উল্লেখ করা হলেও তা অদ্যাবধি মেনে নিতে পারেনি তার পরিবার ও ভক্তরা। তাদের সন্দেহ, হত্যা করা হয়েছে বাংলা চলচ্চিত্রের এই কিংবদন্তিকে। সর্বশেষ ২০১৬ সালের শেষ দিকে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নতুন করে সালমান শাহর মৃত্যুর তদন্তভার দেওয়া হয়।
১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ইস্কাটন রোডে নিজের বাসা থেকে চিত্রনায়ক চৌধুরী মোহাম্মদ শাহরিয়ার (ইমন) ওরফে সালমান শাহর লাশ উদ্ধার করা হয়। ওই সময় এ বিষয়ে অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করেন তার বাবা কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরী। পরে ১৯৯৭ সালের ২৪ জুলাই ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে অভিযোগ করে মামলাটিকে হত্যা মামলায় রূপান্তরিত করার আবেদন জানান তিনি।
অপমৃত্যু মামলার সঙ্গে হত্যাকাণ্ডের অভিযোগের বিষয়টি একসঙ্গে তদন্ত করতে সিআইডিকে নির্দেশ দেন আদালত। ১৯৯৭ সালের ৩ নভেম্বর আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয় সিআইডি। চূড়ান্ত প্রতিবেদনে সালমান শাহের মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলে উল্লেখ করা হয়।
সিআইডির প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে তার বাবা কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরী রিভিশন মামলা দায়ের করেন। এরপর বেশ কয়েকবার একে আত্মহত্যা বলে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়া হলেও সালমানের পরিবার তাতে নারাজি আবেদন করে পুনঃতদন্ত চায়।
প্রায় ১৮ বছর আগের এই মৃত্যুর ঘটনা হত্যা না আত্মহত্যা তা নির্ধারণে গত বছরের জানুয়ারি মাসে মামলাটি আবারও আদালতে ওঠে। তখন মামলাটি তদন্তে পিবিআইকে দায়িত্ব দেয় আদালত।