শ্যামলবাংলা ডেস্ক : আপনি যত ভালো ভালো খাবারই খান না কেন, পরের বেলা ঠিকই আবার ক্ষুধা লাগবে। ক্ষুধা বিষয়টিই এমন। একটি নির্দিষ্ট সময় পরপর আমরা বুঝতে পারি, এখন কিছু খেতে হবে। আর এর নামই ক্ষুধা। পেট যতক্ষণ ভরা থাকবে, ততক্ষণ আপনি নিশ্চিন্ত মনে কাজ করতে পারবেন। কিন্তু যখনই ক্ষুধা তার জানান দেবে, তখন কাজে মন বসানো মুশকিল হয়ে পড়বে।
অনেকে শুধু ক্ষুধা পেলেই খান, অনেকে আবার সময় হিসেব করে খান। তাই একদল পুষ্টিবিদ মনে করেন যে ক্ষুধা পাওয়ার পর খাবার মুখে তোলা উচিত। এদিকে অন্য একদল আবার বলেন যে ঘড়ির কাঁটা ধরে খেলে শরীর বেশিদিন ভালো থাকে। আসলে এর কোনটি ঠিক?
একটু খেয়াল করে দেখলেই বুঝতে পারবেন, আসলে এই দুটি ধারণার মধ্যে তেমন কোনো পার্থক্য নেই! শরীর সুস্থ থাকলে এবং সঠিক খাবার খেলে এমনিতেই নির্দিষ্ট সময় পরপর ক্ষুধা পাওয়ার কথা। আমাদের পাকস্থলীতে ঘ্রেলিন নামক একটি হরমোন তৈরি হয়, ক্ষুধা পেলেই তার ক্ষরণ হয়।
যখন ক্ষুধায় আপনার পেট গুড়গুড় করবে তখন বুঝতে হবে যে তা শরীর আসলে আপনার থেকে খাবার চাইছে এবং পাকস্থলীও সে খাবার হজমের জন্য প্রস্তুত। এই প্রক্রিয়া অনুসরণ করলে বাড়তি ক্যালোরির বোঝা থাকার কথা নয়। কিন্তু যারা ক্ষুধা না লাগলেও নির্দিষ্ট সময় পরপর খাবার খেতে থাকেন, তারা অজান্তেই প্রয়োজনের চেয়ে অনেক বেশি ক্যালোরি গ্রহণ করে ফেলেন।
বেশিরভাগ মানুষ মনে করেন, নির্দিষ্ট সময় পরপর খাওয়া ভালো কারণ তাতে একবারে বেশি খেয়ে ফেলার ভয় থাকে না। এটি গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা কমাতে এবং ক্যালোরির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। কিন্তু যারা ক্ষুধা পেলেই কেবল খান, তাদের মতে ক্ষুধা না পাওয়া সত্ত্বেও শুধু অভ্যাসের বশে যারা খাবার খান, তারা শরীরের প্রয়োজনের দিকটিকে মোটেই গুরুত্ব দেন না।
মূল কথা হলো, এই দুটি বিষয়ের মধ্যে সমতা রাখার চেষ্টা করুন। ক্ষুধা না পেলে খাওয়া ঠিক নয় সত্যি, তবে দীর্ঘ সময় ক্ষুধা পেটে থাকাও কোনো কাজের কথা নয়। খাবার খাওয়ার এক ঘণ্টা আগে ও পরে প্রচুর পানি পান করুন। এতে হজম ঠিকঠাক হবে, পরের ভোজের জন্য প্রস্তুত হবে শরীর। আর কোনোভাবেই অতিরিক্ত খাবার খেয়ে অসুস্থতা বা অস্বস্তি বাড়াবেন না।