ads

শনিবার , ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ | ২৪শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধনপ্রাপ্ত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
  1. ENGLISH
  2. অনিয়ম-দুর্নীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আমাদের ব্লগ
  6. ইতিহাস ও ঐতিহ্য
  7. ইসলাম
  8. উন্নয়ন-অগ্রগতি
  9. এক্সক্লুসিভ
  10. কৃষি ও কৃষক
  11. ক্রাইম
  12. খেলাধুলা
  13. খেলার খবর
  14. চাকরির খবর
  15. জাতীয় সংবাদ

শেরপুর শহীদ স্মৃতিস্তম্ভের সুরক্ষার ব্যবস্থা করা হোক ॥ মানিক দত্ত

শ্যামলবাংলা ডেস্ক
ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২০ ৩:৪৩ অপরাহ্ণ

মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে যারা রণাঙ্গনে শহীদ হয়েছেন তাদের স্মরণে সরকারিভাবে দেশের প্রতিটি জেলায় নির্মাণ করা হয় শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ। সুন্দর নকশায় নির্মিত স্মৃতিস্তম্ভে রণাঙ্গনে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের নাম খচিত রয়েছে। শেরপুর জেলা সদরের শহীদ স্মৃতিস্তম্ভটি শিল্পকলা একাডেমির প্রবেশপথের দক্ষিণ পাশে পৌর চিলড্রেন কর্ণার সংলগ্ন স্থানে নির্মাণ করা হয়েছে। এটি সড়ক ও জনপথের শেরপুর-জামালপুর রাস্তার পাশে হওয়াতে বড় একটি ড্রেন বহমান। স্মৃতিস্তম্ভের প্রবেশ পথের পাশে থাকা মোড় ঘুরানো ড্রেনটি ঝুকিপূর্ণ ছিল। নির্মাণের সময় সে স্থানটি ফাঁকা ছিল পরে যেখানে একটি টং দোকান ঘর বসানোর পর দোকানের মালিক বাঁশ দিয়ে তা ঢেকে দেয়। কিছু দিন পর ভেঙ্গে যাওয়ায় আমি শেরপুর পৌরসভার মেয়র মহোদয়কে অনুরোধ করায় সে স্থানটুকু আরসিসি ঢালাই করে দেন তিনি। তারপরও ৯০ শতাংশ ড্রেন ফাঁকা। সবচেয়ে বড় কথা হলো স্মৃতিস্তম্ভটি অরক্ষিত অবহেলায়-অযত্নে থাকে বছরের বেশিরভাগ সময়। ডিসেম্বর মাসের ১৪ থেকে ১৮ এবং মার্চ মাসের ২৪-২৮ তারিখ পর্যন্ত যত্ন পায়। ধোয়ামোছা পরিস্কার করা হয়, সাজানো হয়। এছাড়া বাকী সময়টুকু দেখভাল করার মত কেউ থাকে না। সেখানে বসেছে চা-পান সিগারেটের দোকান। রাখা হয় গাড়ি, পোস্টার ব্যানার দিয়ে ঢাকা। বিকেল থেকে অনেক রাত পর্যন্ত চলে বিভিন্ন বয়সীদের আড্ডা, যেন এটি একটি বিনোদন কেন্দ্র। স্তম্ভে ওঠে গিটার বাজাচ্ছে, গান গাচ্ছে। গান যদি দেশাত্মবোধক স্বাধীনতার হয় ভালো; কিন্তু তারা তা গাচ্ছে না। চা-পান-সিগারেটের বেঞ্চ পেতে রাখা হয় স্মৃতিস্তম্ভ জুড়ে। পানের পিক, সিগারেটের শেষ অংশ, চায়ের শেষ অংশ ফেলা হচ্ছে যত্রতত্র। মাঝে মাঝে অর্থাৎ বিশেষ দিবসে স্মৃতিস্তম্ভের উপর অনুষ্ঠিত হয় বিভিন্ন অনুষ্ঠান। বিজয় দিবস, স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান হলে তো ভালো কিন্তু ১লা বৈশাখ, ১লা ফাল্গুন, চৈত্র সংক্রান্তিসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান করা হয়।

Shamol Bangla Ads

স্মৃতিস্তম্ভ আনন্দ ফূর্তির স্থান নয়; সম্মান, শ্রদ্ধার স্থান। স্মৃতিস্তম্ভের সামনের পাশে খালি স্থানে হলে কোন কথা নেই, কিন্তু স্মৃতিস্তম্ভের উপর কেন? স্মৃতিস্তম্ভের পিছনে বসে খাসি ছাগল ও পুরাতন রিক্সা, ভ্যান-সাইকেলের বাজার। স্মৃতিস্মম্ভে সকলেই যাবে সম্মান দেখাতে, শ্রদ্ধা জানাতে, সন্তানদের নিয়ে যাবে ইতিহাস জানাতে কিন্তু তা তো হচ্ছে না। হচ্ছে অন্য কিছু। স্মৃতিস্তম্ভের পাশে ব্যবসায়িক বা বিভিন্ন কারণে সব সময় অবস্থান করেন তাদের মধ্যে অনেকেরই অভিযোগ, সেখানে অনেকেই নেশা-মাদক দ্রব্য গ্রহণ করেন। তাই আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন জানাবো শহীদ স্মৃতিস্তম্ভের চারিপাশে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করে সেই সীমানা প্রাচীরে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক ছবি অংকন বা ম্যুরাল করা হোক। নির্মাণ করা হোক সুন্দর একটি গেইট। যাহা শুধু বিশেষ বিশেষ দিনে খুলে দেওয়া হবে। সীমানা প্রাচীরের ভিতরে থাকবে পরিস্কার। ভিতরে লাগানো হোক ফুল গাছ। শ্রদ্ধীয় শহীদ জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের আত্মা শান্তিতে থাকুক, অসম্মান অবহেলায় নয়। এ কাজটুকু করতে খুব বেশী অর্থ ব্যয় হবে বলে মনে হয় না। আমাদের শ্রদ্ধা এবং আন্তরিকতা সৃষ্টি হলেই মনে করি এ কাজটি দ্রুত হবে। অনেক অর্থে অনেক বড় বড় অনেক কিছু হচ্ছে। কাজটি ২৬শে মার্চের আগেই হবে বলে আমি বিশ্বাস ও আশা রেখে শেষ করছি। শ্রদ্ধা হে মহান শহীদগণ বিনম্রচিত্তে।
লেখক : সাংবাদিক ও ক্রীড়া সংগঠক, শেরপুর।

সর্বশেষ - ব্রেকিং নিউজ

error: কপি হবে না!