স্টাফ রিপোর্টার ॥ হাজারও মানুষের শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে চিরবিদায় নিয়েছেন শেরপুর চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির (তৎকালীন শিল্প ও বণিক সমিতি) প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক, জেলা চালকল মালিক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক, প্রবীণ সমাজসেবক কবি কফেজ উদ্দিন মিয়া (৯০)। ১৯ ফেব্রুয়ারি বুধবার বিকেলে শহরের নওহাটাস্থ নিজ এলাকায় নামাজে জানাজায় অংশ নেন আত্মীয়-স্বজন, ভক্ত-অনুরাগী, শুভানুধ্যায়ী এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক-সামাজিক ও ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ বিপুল সংখ্যক মুসল্লী।
নামাজে জানাজায় মরহুমের স্মৃতিচারণ করে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট মুহাম্মদ আখতারুজ্জামান, চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ আসাদুজ্জামান রওশন, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি আলহাজ্ব এডভোকেট মোঃ সিরাজুল ইসলাম, জেলা আইনজীবী সমিতি ও প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলাম আধার, পৌরসভার সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এডভোকেট আব্দুল মান্নান, পৌরসভার প্যনেল মেয়র আতিউর রহমান মিতুল, কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, সাবেক কাউন্সিলর আলহাজ্ব মোকছেদুর রহমান তালুকদার, চেম্বার অব কমার্সের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি আলহাজ্ব জয়নাল আবেদীন, সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মুহসীন আলী আকন্দ, নওহাটা আল জামিয়াতুল ফাজিল মাদ্রাসার সুপার মাওলানা নুরুল আমিন, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মেরাজ উদ্দিন, তেরাবাজার জামিয়া সিদ্দিকিয়া মাদ্রাসার মোহতামিম মাওলানা সিদ্দিক আহমেদ, সমাজসেবক আলহাজ্ব নুর মোহাম্মদ, আলহাজ্ব মজিবর রহমান মাস্টার, আলহাজ্ব এমদাদুল হক মাস্টার, রমজান আলী, হাসানুর রেজা জিয়া, হাসানুর রহমান আলাল, আলহাজ্ব আব্দুর রহমান রুমান, এডভোকেট আকরামুজ্জামান, মরহুমের পুত্র আলমগীর হোসেন আলম প্রমুখ। জানাজায় ইমামতি করেন খোয়ারপাড় শাপলাচত্ত্বর জামে মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা মোঃ হাবিবুল্লাহ। পরে তাকে নওহাটা পৌর কবরস্থানে দাফন করা হয়।
উল্লেখ্য, ১৮ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার রাতে শহরের নওহাটাস্থ নিজ বাসভবনে বার্ধক্যজনিত রোগে ইন্তেকাল করে কফেজ উদ্দিন মিয়া। তার মৃত্যুতে এলাকাসহ খোদ শহরে শোকের ছায়া নেমে আসে। তার সম্মানার্থে স্থানীয় উত্তরা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় ও আলজামিয়াতুল ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসা বন্ধ ঘোষণা করা হয়। কফেজ উদ্দিন মিয়া ছাত্রজীবন থেকেই আওয়ামী লীগের আদর্শের সাথে জড়িত ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি জাতীয় পার্টির রাজনীতির সাথে জড়িত হন এবং দীর্ঘদিন জেলা জাতীয় পার্টির সহ-সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন। একসময় রাজনৈতিক অঙ্গন থেকে তিনি সরে পড়লেও মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা থেকে বিচ্যুত হননি। তিনি ১৯৮৪ সনে শেরপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তিনি উত্তরা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। এছাড়া তিনি নওহাটা আল জামিয়াতুল মাদ্রাসা, খোয়ারপাড় জামে মসজিদ-মাদ্রাসা, উত্তরা স্পোর্টিং ক্লাবসহ বিভিন্ন শিক্ষা-ধর্মীয়, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন। তিনি একজন পরিচ্ছন্ন ও সাহসী সমাজসেবক হিসেবে পরিচিত ছিলেন।