শ্যামলবাংলা ডেস্ক : দীর্ঘ ১৭ বছর পর মাকে খুঁজে পেলেন পটুয়াখালীর ছেলে ঠাকুর কৃষ্ণ হাওলাদার (৪৫)। ১৭ ফেব্রুয়ারী দুপুরে পটুয়াখালী শহরের সবুজবাগের তিতাস মোড় এলাকা থেকে মা বকুল বালাকে (৮০) খুঁজে পান তিনি। দীর্ঘদিন পর একে অপরকে কাছে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন মা-ছেলে।
জানা যায়, ঠাকুর কৃষ্ণ হাওলাদারের ছেলে (বকুল বালার নাতি) রিপন চন্দ্র হাওলাদার পটুয়াখালী সরকারি কলেজে স্নাতকোত্তর পড়ছেন। তিনি পটুয়াখালী শহরের একটি ছাত্রাবাসে থেকে পড়াশোনা করেন। গত শুক্রবার সকালে শহরের সবুজবাগ এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় বকুল বালাকে দেখে সন্দেহ হলে তার বাবাকে খবর দেন। এরপর গতকাল দুপুরে ঠাকুর কৃষ্ণ হাওলাদার পটুয়াখালী এসে তার হারিয়ে যাওয়া মাকে চিনতে পেরে কান্নায় ভেঙে পড়েন।
বকুল বালার বাড়ি পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার ডাকুয়া ইউনিয়নের তালবাড়ীয়া গ্রামে এবং ওই গ্রামের মৃত মাখম চন্দ্র হাওলাদারের স্ত্রী। ২ ছেলে ২ মেয়েকে নিয়ে সংসার ছিল তার। ২ মেয়ে বিয়ের পর অন্যত্র চলে গেছেন। ছোট মেয়ে আলো রানীকে ১৬ বছর বয়সে বিয়ে দেওয়ার কিছুদিন পরই বাপের বাড়ি ফেলে তার স্বামী ভারতে পালিয়ে যায়। এরপর আলো রানী স্বামীকে খুঁজতে ভারতে গিয়ে নিরুদ্দেশ হন। ১৭ বছর আগে মা বকুল বালা মেয়ের খোঁজে বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর নিখোঁজ হয়ে আর ফিরে আসেননি। সেই থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন এবং ১৭ বছর পর গতকাল তাকে খুঁজে পান তার ছেলে ঠাকুর কৃষ্ণ হাওলাদার।
নাতি রিপন হাওলাদার জানান, তার মা-বাবার কাছে ঠাকুরমার শারীরিক অনেক বিবরণ শুনেছেন। হঠাৎ করে রাস্তায় দেখা বৃদ্ধকে তার ঠাকুরমার মতো মনে হলে বাবাকে খবর দেন তিনি।
ঠাকুর কৃষ্ণ হাওলাদার বলেন, তার মা মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। ১৭ বছর আগে আমার ছোট বোনকে খুঁজতে গিয়ে মা নিখোঁজ হন। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাকে আর পাইনি। শুনেছিলাম ভারতে গেছেন। ভারতে গিয়েও মাকে খোঁজাখুঁজি করেছিলাম। কোথাও তাকে পাইনি। ১৭ বছর পর মাকে পেয়ে আজ আমার কী যে ভালো লাগছে, তা আপনাদের বোঝাতে পারব না।