স্টাফ রিপোর্টার ॥ শেরপুরের এইচ কে রুমান উচ্চ বিদ্যালয়ে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ইন্সটিটিউট ফর এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (আইইডি)’র উদ্যোগে ইয়্যুথ অ্যাজ চেঞ্জ এজেন্ট ফর সোশ্যাল কোহেশন প্রজেক্টের আওতায় দেয়ালিকা প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৭ ফেব্রুয়ারি সোমবার সকালে ‘সম্প্রীতি’ নামে ওই দেয়ালিকার উদ্বোধন করেন জেলা আইনজীবী সমিতি ও প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলাম আধার। ওইসময় তিনি বলেন, দেয়ালিকা হচ্ছে শিক্ষার্থীদের সাহিত্যচর্চার একটি অন্যতম চারণক্ষেত্র। এর মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক চর্চার যে স্ফুরণ ঘটে তা চলমান থাকলে সেই শিক্ষার্থীদের মাঝ থেকেই বেরিয়ে আসতে পারে ছড়াকার, গল্পকার ও ঔপন্যাসিকসহ চিত্রকর। তিনি দেয়ালিকা প্রকাশনার ওই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে আগামী দিনে তা নিয়মিত বা ন্যূনতম ৩ মাস অন্তর হলেও প্রকাশনা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের বাছাই করা রচনাসমগ্র নিয়ে বার্ষিক ম্যাগাজিন প্রকাশের উপর গুরুত্বারোপ করেন।
এ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ময়মনসিংহ প্রতিদিন’র সম্পাদক অধ্যক্ষ ড. মোঃ ইদ্রিস খান। ওইসময় তিনি আইইডি ও স্কুলের যৌথ উদ্যোগে ওই দেয়ালিকা প্রকাশনায় সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশের একটি অন্যতম মাধ্যম দেয়ালিকা। এ দেয়ালিকায় লিখতে লিখতেই কোমলমতি শিক্ষার্থীরাই একদিন রবীন্দ্রনাথ, নজরুল ও জসিম উদ্দীন হয়ে উঠবেন। তাদের মধ্য থেকেই একদিন রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা বেরিয়ে আসবেন। তাই কোমলমতি শিক্ষার্থীদের সাহিত্য-সাংস্কৃতিক চর্চার উপযুক্ত ক্ষেত্র তৈরি করে তাদেরকে সেভাবে গড়ে তুলতে হবে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূল বক্তব্য রাখেন আইইডি’র প্রোগ্রাম অফিসার ইমতিয়াজ চৌধুরী শৈবাল। ওইসময় আইইডি’র হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ, পৌরসভার সমন্বয়কারী মোখলেসুর রহমান, চরশেরপুর ইউনিয়নের সমন্বয়কারী তাসলিমা খাতুন, সম্প্রীতি দেয়ালিকার প্রকাশক রফিকুল ইসলাম রাজুসহ শিক্ষকমণ্ডলী ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা শেষে দেয়ালিকায় প্রকাশিত রচনায় প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অর্জনকারী শিক্ষার্থীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন অতিথিরা।
উল্লেখ্য, ওই দেয়ালিকায় ছড়া, কবিতা, গল্প, কৌতুক ও চিত্রকর্মসহ প্রায় ৩০টি রচনা স্থান পেয়েছে।