স্টাফ রিপোর্টার ॥ শেরপুরে ‘বিশ্বওলীর আবির্ভাব মঞ্জিলে’ এখন মানুষের ঢল। সদর উপজেলার পাকুড়িয়াস্থ মঞ্জিলের কোথাও তিল ধারণের ঠাঁই নেই। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে শান্তি ও কল্যাণকামী নারী-পুরুষ আসছেন ওই মঞ্জিলে। তারা যেন মুর্শিদের পূণ্যভূমির মাটিতে আবেগ ও ভালবাসায় একাকার। আগামীকাল মঙ্গলবার বিশ্ব উরস শরীফের শেষ দিনে বিশ্বওলী হযরত শাহ্সূফী খাজাবাবা ফরিদপুরী (কুঃ ছেঃ আঃ)’র রওজা শরীফ যিয়ারত ও আখেরি মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে।
দরবার শরিফ কর্তৃপক্ষ জানায়, মহান মুর্শিদ ও জাকের পার্টির প্রতিষ্ঠাতা বিশ্বওলী খাজাবাবা ফরিদপুরী (কুঃ ছেঃ আঃ) বিশ্ব উরস শরীফের আজ ১৭ ফেব্রুয়ারি সোমবার দ্বিতীয় দিন। ইয়া আল্লাহু ইয়া রাহমানু ইয়া রাহিমু, ইয়া রহমাতাল্লিল আলামিন নামের রোনাজারি এবং স্রষ্টা সান্নিধ্যের ধ্যান মগ্নতায় বিভোর ভক্তরা। এজন্য ঐতিহ্য অনুযায়ী আলাদা আলাদা জায়গায় অন্ততঃ ১০টি বিশাল শামিয়ানার নিচে মুসলিম ও হিন্দু সম্প্রদায়সহ অন্যান্য সম্প্রদায়ের ভক্তদের আরাধনার জায়গা করে দেওয়া হয়েছে।
অযু, এবাদত বন্দেগী, আহার, বিশ্রাম, পয়ঃপ্রণালী, নিরাপত্তা, ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণসহ সার্বিক আয়োজনে ৫৮টি ডিপার্টমেন্টে কয়েক হাজার স্বেচ্ছাসেবী ও এলাকাবাসী কাজ করছেন দিনরাত। সারাদেশ থেকে সড়ক পথে শত শত বাস কাফেলার যে স্রোত তাতে উরসস্থলের অন্তত ৫ কিলোমিটার জায়গাজুড়ে মানুষ ও গাড়ির বিশাল মেলায় পরিণত হয়েছে।
এদিকে উরস শরীফের দ্বিতীয় দিনে সোমবার বিশ্বওলী ফরিদপুরীর উত্তরাধিকার এবং জাকের পার্টি চেয়ারম্যান পীরজাদা মোস্তুফা আমীর ফয়সল মুজাদ্দেদী সকাল থেকে সমবেত ভক্তদের কয়েক দফায় সাক্ষাত দেন। সমবেত ভক্তদের তীব্র আকুতিতে সাড়া দিয়ে সকালে প্রথমেই তিনি অনুষ্ঠানের মূল প্যান্ডেলের মঞ্চে আসেন ।
এদিন উরসের নিয়ম অনুযায়ী, আজ মহা পবিত্র খাজা রজনী। আজ থেকে ১৯ বছর আগে ১৮ বৈশাখ, ১ মে এই সোমবার রাতেই আমীর ফয়সল মুজাদ্দেদীর পিতা খাজাবাবা ফরিদপুরী (কুঃছেঃআঃ) মৃত্যুবরণ (ওফাত) করেন। এজন্য আজ রাত ১টা ১৫ মিনিটে বিশেষ মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া ওয়াক্তিয়া নামাজের সাথে নফল ইবাদত বন্দেগী, তেলাওয়াতে কালামে পাক, দফায় দফায় মিলাদ মাহফিল ও বিশেষ মুনাজাত, রাতের শেষ ভাগে আল্লাহ তায়ালার রহমত কামনা ও বিশ্ব নবী রাসুলে পাক (সা:) এর স্মরণ, মোরাকাবা মোশাহেদা, জেকের আসকার ও ওয়াজ নসিহত অনুষ্ঠিত হচ্ছে।