শ্যামলবাংলা ডেস্ক : নতুন করে আক্রান্ত হওয়া মানুষের সংখ্যা কমে এলেও চীনে করোনাভাইরাসে ব্যাপক প্রাণহানি ঠেকানো যাচ্ছে না। এখন পর্যন্ত দেশটিতে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৮শ’র কাছাকাছি পৌঁছেছে। আর আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ৭০ হাজার ছাড়িয়েছে।
চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন সোমবার জানিয়েছে, দেশটিতে নতুন করে আরও ১০৫ জন কভিড-১৯ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। এতে এখন পর্যন্ত চীনের মূল ভূখণ্ডেই এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৭৭০ জনে। আর আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ৭০ হাজার ৫০০ ছাড়িয়েছে। চীনের বাইরে হংকং, তাইওয়ান, ফিলিপাইন, জাপান ও ফ্রান্সে একজন করে মারা গেছে।
এদিকে চীনে করোনাভাইরাসের ছড়িয়ে পড়ার হার বা নতুন করে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কমে আসা অব্যাহত রয়েছে। চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, নতুন করে দেশটিতে এই ভাইরাসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ১১৫ জন, যা এক সপ্তাহ আগেও প্রতিদিন গড়ে ছিল ৪৫০ জন। তবে তা সত্ত্বেও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নেয় তা এখনই অনুমান করা ‘অসম্ভব’।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহানে প্রথমবারের মতো করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর চীনের বাইরে অন্তত ২৫টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস। চীনের সর্বত্র করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় উৎপত্তিস্থল উহান শহরসহ বেশিরভাগ এলাকা কার্যত অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। সংক্রমণ ঠেকাতে চীনের বিভিন্ন শহরেও নানা ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। সর্বশেষ এই ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে দেশটির কর্তৃপক্ষ বাজার থেকে ব্যাংক নোট তুলে নিয়ে তা জীবাণুমুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছে।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বিশ্বজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এ ছাড়া বেশ কিছু দেশ চীনের নাগরিক বা চীন থেকে আগত অন্য দেশের নাগরিকদের জন্য ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।