শ্যামলবাংলা ডেস্ক : ক্যাপসিকাম দক্ষিণ ও মধ্য আমেরিকায় প্রায় ৯০০ বছর আগে চাষ করা হয়েছিল। অনেক দেশে অনেক আগে থেকেই ক্যাপসিকাম বা মিষ্টি মরিচ চাষ করা হয়। লাল, সবুজ ও হলুদ রঙে পাওয়া যায় এই ক্যাপসিকাম। বর্তমানে আমাদের দেশেও বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এই সবজি। কেননা নুডুলসের সাথে এটি খাওয়া হয়। এছাড়াও অনেকে সবজি হিসেবেও খেয়ে থাকেন। তাই ক্যাপসিকামের চাষও বাড়ছে আমাদের দেশে। পুষ্টিগুণের বিচারে ক্যাপসিকামের জুড়ি নেই। পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ হওয়ায় ক্যাপসিকাম বা মিষ্টি মরিচের রয়েছে নানা স্বাস্থ্যগুণ।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি পুষ্টিতে সমৃদ্ধ হওয়ার কারণে ক্যাপসিকাম বেশ কয়েক ধরনের ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক। ক্যাপসিকামে স্বাস্থ্য সহায়ক উপকারী সালফার থাকে এবং এর এনজাইমগুলি পাকস্থলী ক্যান্সার এবং খাদ্যনালী ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে। প্রোস্টেট, মূত্রাশয়, জরায়ু এবং অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সার প্রতিরোধে ক্যারোটিনয়েড লাইকোপেন কার্যকর ভূমিকা রাখে।
লাল ক্যাপসিকাম লাইকোপিনে সমৃদ্ধ। এটি হার্টের জন্য উপকারী। হোমোসিস্টিনের মাত্রা বাড়লে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়তে পারে। কিন্তু ক্যপসিকামের ভিটামিন বি ৬ এবং ফোলেট হোমোসিস্টিনের স্তর হ্রাস করতে সক্ষম। ক্যাপসিকামে ১৬২ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম রক্তচাপকে হ্রাস করে হার্টকে ভালো রাখে। তাই এখন থেকেই নিয়ম করে ক্যাপসিকাম খেলে অনেক রোগ দূরে থাকবে। সূত্র : স্টাইল ক্রেজ