শ্যামলবাংলা ডেস্ক ॥ ইরাকের নতুন প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন দেশটির সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী মোহাম্মদ তৌফিক এলাহী। প্রেসিডেন্ট বারহাম সালেহ তাকে এই দায়িত্ব দিয়েছেন। ১ ফেব্রুয়ারি শনিবার তৌফিককে নিয়োগ দেওয়ার পর ‘ক্ষমতাসীনদের কাছের মানুষ’ আখ্যা দিয়ে তাকে প্রত্যাখ্যান করেছে সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীরা। ইরাকে নতুন সরকার গঠনের আর মাত্র ১ মাস বাকি। তার আগে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পরই বিক্ষোভকারীদের সমর্থন জানিয়েছেন মোহাম্মদ তৌফিক। দায়িত্ব নিয়েই দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত বিক্ষোভকারীদের আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
টানা বিক্ষোভ-সহিংসতার মাঝে গেল ডিসেম্বরে দেশটির পার্লামেন্টে পদত্যাগপত্র জমা দেন প্রধানমন্ত্রী আদেল আবদুল মাহদি। দেশটিতে চলমান সরকারবিরোধী বিক্ষোভে এখন পর্যন্ত কয়েকশ বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছেন। কর্মসংস্থানের সংকট, নিম্নমানের সরকারি পরিষেবা এবং দুর্নীতির অভিযোগ তুলে গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে বাগদাদের রাজপথে নামে কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী। ডিসেম্বরের শুরু পর্যন্ত এই বিক্ষোভে নিহত হয় সাড়ে চারশোরও বেশি মানুষ। গত ৩ জানুয়ারি বাগদাদে ইরানের শীর্ষ জেনারেল কাসেম সোলাইমানি হত্যাকাণ্ডের পর বিক্ষোভ কিছুটা স্তিমিত হয়ে এলেও নতুন করে তা আবারও দানা বেঁধে উঠেছে।
১ লা ফেব্রুয়ারী শনিবার এক ভিডিও বার্তায় নতুন প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনারা ত্যাগ ও সাহসিকতা না দেখালে দেশ পরিবর্তন হবে না। আমি আপনাদের বিশ্বাস করি এবং এ কারণে আমি চাই আপনারা আন্দোলন চালিয়ে যান। এছাড়া তিনি বিক্ষোভকারীদের হত্যার দায় এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।
উল্লেখ্য, মোহাম্মদ তৌফিক শিয়া মতাবালম্বী। তিনি লেবাননে পড়াশোনা করেছেন। এর আগে ২ বার ইরাকের যোগাযোগমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।