শ্যামলবাংলা ডেস্ক ॥ বর্তমান সরকার প্রতিনিয়ত মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে নানাবিধ কার্যক্রম গ্রহণ করে আসছে। দেশে বর্তমানে ১ লাখ ৮৯ হাজার ৩১১ জন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সন্মানিত ভাতা প্রদান করা হচ্ছে। ৩০ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সংরক্ষিত আসনের মহিলা সংসদ সদস্য সৈয়দা রুবিনা আক্তারের প্রশ্নের লিখিত জবাবে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক ওই তথ্য জানান। অধিশেনে সভাপতিত্ব করেন ড. শিরিন শারমিন চৌধুরী।
মন্ত্রী বলেন, ২০১৯-২০ অর্থ বছর হতে মুক্তিযোদ্ধাদের মাসিক ১২ হাজার টাকা সন্মানিত এবং ১০ হাজার টাকা করে ২টি উৎসব ভাতা প্রদান করা হচ্ছে। গত ২০১৮-১৯ অর্থবছর হতে মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের উত্তরাধিকারীগণকে রাষ্ট্রীয় সন্মানি ভাতার পাশাপাশি বাংলা নববর্ষ ভাতা জনপ্রতি ২ হাজার টাকা এবং ভাতাপ্রাপ্ত জীবিত মুক্তিযোদ্ধাদের বিজয় দিবস ভাতা জনপ্রতি ৫ হাজার টাকা করে প্রদান করা হচ্ছে। এ ছাড়া বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যান ট্রাস্টের মাধ্যমে ১২ হাজার ১৭৬ জন খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা এবং যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের সন্মানিত ভাতাও দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলার প্রশ্নের লিখিত জবাবে মন্ত্রী জানান, যেসব মুক্তিযোদ্ধা ইতোমধ্যে মারা গেছেন, কিন্তু এখন পর্যন্ত সদন পায়নি, তাদেরসহ সকল মুক্তিযোদ্ধাদের দ্রুতই ডিজিটাল (স্থায়ী সনদ) দেওয়া হবে।
সরকারী দলের সংসদ সদস্য দিদারুল আলমের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী আরও জানান, সকল শ্রেণীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির ব্যাপারে ন্যুনতম যোগ্যতা থাকার শর্তে ৫ শতাংশ কোটা সংরক্ষণ করা আছে। যুদ্ধাহত ও শহিদ মুক্তিযোদ্ধা এবং অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের বিনা বেতনে লেখাপড়া সুযোগ প্রদান করা হচ্ছে।